shono
Advertisement

গুজরাটে বিষমদে মৃত্যু অন্তত ২৮ জনের, খুনের অভিযোগ দায়ের করল পুলিশ

এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত বিরোধীরা।
Posted: 02:46 PM Jul 26, 2022Updated: 02:48 PM Jul 26, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটে(Gujarat) বিষমদ খেয়ে মারা গিয়েছেন ২৮ জন। অসুস্থ আরও অনেকেই। যাঁরা অসুস্থ, তাঁদের বেশিরভাগের অবস্থাই সঙ্কটজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মদ বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।

Advertisement

বিষমদ খেয়ে যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই আহমেদাবাদ (Ahmedabad) ও বোটাড (Botad) জেলার গ্রামের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই গ্রামের একাধিক ব্যক্তিকে বেআইনি ভাবে মদ প্রস্তুতি ও বিক্রি করার অপরাধে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার এবং সিট গঠন করা হয়েছে। মদ প্রস্তুতি ও বিক্রির উপরে আগেই নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু সরকারের এই নিষেধকে অমান্য করে চলছিল বেআইনি মদের ব্যবসা। যা দেখে হতবাক সেই রাজ্যের পুলিশও।   

[আরও পড়ুন: কালো ডায়েরি, স্কুল শিক্ষাদপ্তরের খামে ৫ লক্ষ টাকা, অর্পিতার ফ্ল্যাটে তল্লাশিতে আর কী পেল ED?]

ডিজিপি আশিস ভাটিয়া(Ashish Bhatia) জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আশিস আরও জানিয়েছেন, মিথাইল অ্যালকোহল খাওয়ার ফলেই বিষক্রিয়া হয়। আর তার ফলেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা।  

প্রসঙ্গত চলতি বছরের মার্চ মাসে বিষমদের কারণে প্রায় ৬ জন মারা যান। গুজরাটের রোজভিড গ্রামের সেই ঘটনায় বারবার প্রশাসনকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু কার্যত কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন।

[আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: SSC দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রিত্ব থেকে সরান পার্থকে, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি অধীর চৌধুরীর]

এই ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিরোধীরাও। কংগ্রেস বিধায়ক অমিত ছাভড়া (Amit Chavda) বলেছেন, “প্রতি মাসে ঘুষ নিত স্থানীয় পুলিশ।” বেআইনি ভাবে মদ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি বিজেপির যোগ রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন আপ প্রধান তথা দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়ালও(CM Arvind Kejriwal)। তিনি বলেছেন, “কেবলমাত্র খাতায় কলমে মদ বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় এলে তা বাস্তবে রূপায়ণ করে দেখাতাম।” উল্লেখ্য, অসুস্থদের হাসপাতালে দেখতে যেতে পারেন কেজরিওয়াল। 

বিজেপি নেতা অল্পেশ ঠাকুর বলেছেন, “মদ বিক্রি বন্ধের আইন আরও কঠোর ভাবে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। ব্যাপারটি বারবার প্রশাসনের নজরে আনার চেষ্টা করছি আমরা।” এছাড়াও গ্রামাঞ্চলে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি বন্ধ করার-ও চেষ্টা করছেন তাঁরা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement