চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: প্রতিবারের মতোই চোখের নিমেষে এবারের দুর্গাপুজোও (Durga Puja 2020) শেষ হয়েছে। ফের দিনগোনা শুরু করেছে আমবাঙালি। এই পরিস্থিতিতে ফের দুর্গাপুজো শুরু হল জামুড়িয়ায়। ফের বেজে উঠল ঢাক। ফের মন্ত্রোচারণে গমগম করে উঠল মন্দির। নতুন করে পাতা হল ঘট। ফের হল সপ্তমী, অষ্টমী নবমী ও দশমীর পুজো। কিন্তু কেন?জানা গিয়েছে, জামুড়িয়ার মদনতোড় গ্রামের ‘রায়-মুখোপাধ্যায়’ পরিবারের পুজো ত্রুটিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কারণেই নতুন করে মা দুর্গার আরাধনার আয়োজন।
ওই পরিবারের সদস্যদের কথায়, “এই পুজোর নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মা দুর্গা। পরিবারের এক সদস্যের উপর মা ভর করে নির্দেশ দিয়েছেন ত্রুটিমুক্তি পুজো করতে।” এই ঘটনায় বিজয়ায় ফের পুজোর আনন্দে মেতে উঠেছেন গ্রামের মানুষ। ‘রায়-মুখোপাধ্যায়’ পরিবারের সদস্যরা জানান, সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই পুজো। এই মন্দিরেই রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসন। কথিত আছে এখানকার মা দুর্গা জাগ্রত। অতীতে বহু অলৌকিক ঘটনা ঘটেছে। তবে দ্বিতীয়বার দুর্গা পুজোর ঘটনা এই প্রথম ঘটল।
[আরও পড়ুন: করোনা যোদ্ধাদের শুভেচ্ছা, বিজয়ায় রাজ্যের সব থানার আইসিদের চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী]
পরিবারের সদস্য সুশান্ত মুখোপাধ্যায়, শান্তি মুখোপাধ্যায়, গজানন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবার দশমীর শোভাযাত্রা চলাকালীন পরিবারের সদস্য রাজু মুখোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় অন্য এক ভাইয়ের সঙ্গে। কিন্তু রাস্তায় অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকেন রাজু। রাস্তার ধারে পুকুরে স্নান করতে নেমে যান। তারপর মন্দিরে ছুটে গিয়ে পঞ্চমুণ্ডির আসনে বসে পড়েন। পরিবারের সদস্যদের দাবি সেসময় অসীম ক্ষমতার অধিকারি হয়ে উঠেছিল রাজু। তাঁকে বেদি থেকে নামানো যায়নি। বেদিতে বসেই রাজু বলে অষ্টমীর পুজোয় নিবেদিত নৈবদ্য ভোগ ছিল ত্রুটিপূর্ণ। সেই ভোগে পা ঠেকে গিয়েছিল। তাই নিবেদিত ভোগ গ্রহণ হয়নি। ‘মা রূপী’ রাজু, অষ্টমঙ্গলার আগেই ঘট পেতে নতুন করে পুজোর নির্দেশ দেন। সেই কারণেই শুরু হয় পুজো।