সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরুতেও প্রথামতো প্রয়াত প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যদের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে সংসদের দুই কক্ষে। প্রথা মেনে শোকজ্ঞাপনের পর অধিবেশন সাময়িকভাবে মূলতুবিও করে দেওয়া হয়। কিন্তু এই প্রয়াত সাংসদদের তালিকায় একটি নাম নিয়ে শুরু হয়ে গেল বিতর্ক। আসলে অন্যান্য সাংসদদের পাশাপাশি খুনের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের প্রয়াণেও শোকজ্ঞাপন করেছেন স্পিকার ওম বিড়লা (Om Birla)। আর তাতেই যত বিতর্ক।
বৃহস্পতিবার বাদল অধিবেশনের (Monsoon Session) শুরুতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা একে একে প্রয়াত বর্তমান ও প্রাক্তন সাংসদদের নাম বলেন। তাঁদের পরিচয় দেন, এবং তাঁদের জন্য শোকবার্তা পাঠ করেন। সেই সাংসদদের তালিকায় ছিলেন আতিক আহমেদও। আতিক ১৪ তম লোকসভায় উত্তরপ্রদেশের ফুলপুর থেকে সাংসদ হন। সেকথায় এদিন উল্লেখ করেন স্পিকার ওম বিড়লা। এমনকী খুনে অভিযুক্ত আতিককে ‘শ্রী’ বলেও সম্বোধন করেন তিনি। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
[আরও পড়ুন: কলকাতা লিগে বাংলার ছেলের দুরন্ত গোল, পুসকাসের দৌড়ে এরিয়ানের সৈকত]
উল্লেখ্য, আতিক আহমেদ (Atiqe Ahmed) বিএসপি নেতা উমেশ পাল হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন। এছাড়াও একাধিক খুনের মামলা আছে তাঁর বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশে তিনি পরিচিত ছিলেন বাহুবলি গ্যাংস্টার নেতা হিসাবে। এ হেন আতিকের মৃত্যুও হয় নির্মমভাবে। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে গুলি করে তাঁকে হত্যা করে গ্যাংস্টাররা।
[আরও পড়ুন: টিমকে তাতাতে মাঠে লারা, ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজের শততম টেস্টে আমন্ত্রিত গাভাসকর]
প্রশ্ন উঠছে, এ হেন গ্যাংস্টারের নাম শোকজ্ঞাপনের তালিকায় না রাখলে বিশেষ ক্ষতি হত কী? যদিও সরকার পক্ষ বলছে, সবটাই হয়েছে দস্তুর মেনে। প্রাক্তন সাংসদ হিসাবেই আতিকের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করা হয়েছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের আবার বক্তব্য, কার নাম শোকজ্ঞাপনের তালিকায় থাকবে সেটা নির্ভর করে স্পিকারের উপর। তিনি চাইলেই আতিকের নাম বাদ দিতে পারতেন।