রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণ কাণ্ডের দুই মাস্টার মাইন্ডকে গ্রেপ্তারির নেপথ্যে বড়সড় ভূমিকা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের ‘অতিথি’ পোর্টালের (Portal)। জঙ্গিদের ধরতে পুলিশকে সাহায্য করেছে এই পোর্টাল, এমনই জানা গিয়েছে পুলিশ সূত্রে। এৎ এই সাফল্যের পর জেলা পুলিশের তরফে সমস্ত হোটেলগুলিকে ‘অতিথি’ পোর্টাল ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর এবং শংকরপুর বেড়াতে আসা পর্যটকদের পরিচয়পত্র পূর্ব মেদিনীপুর (East Midnapore) জেলা পুলিশের ‘অতিথি’ পোর্টালে আপলোড করার নির্দেশ দেওয়া হয়। কীভাবে তথ্য আপলোড করতে হবে, তার জন্য হোটেলের ম্যানেজারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মূলত দিঘা, মন্দারমণি-সহ সৈকত এলাকার বেড়াতে আসা পর্যটকদের তথ্য সংগ্রহের জন্যে মাস কয়েক আগে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ‘অতিথি’ নামের পোর্টাল চালু করে। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডের দুই মাস্টার মাইন্ড দিঘায় আশ্রয় নিয়েছে, এনআইএ-র (NIA) তরফ থেকে এমন তথ্য পাওয়ার পরই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ‘অতিথি’ পোর্টাল খুলে তথ্য যাচাই করা হয়। এর ফলে অভিযুক্তদের স্থান চিহ্নিত করতে সহজ হয় জেলা পুলিশের (District Police)। ফলে খবর পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে সাফল্যের নজির রাখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলে হামলা ইরানের, ঘনাচ্ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মেঘ?]
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আধার কার্ড জাল করে ভুয়ো নামে দুই দুষ্কৃতী নিউ দিঘার হোটেলে আশ্রয় নেওয়ায় প্রথমের দিকে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। পরে অবশ্য সাফল্য আসে পুলিশের। দিঘা (Digha) থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ দিঘার যে হোটেল থেকে অভিযুক্তরা গ্রেপ্তার হয়েছে সেই হোটেল ‘অতিথি’ পোর্টাল ব্যবহার করায় তদন্তে সুবিধা হয়েছে। তবে দিঘায় এখনও গড়ে ২০ শতাংশ হোটেল ‘অতিথি’ পোর্টাল ব্যবহার করেনি। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে সমস্ত হোটেলকে পোর্টাল ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। দিঘার হোটেল সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, দিঘায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৮৫০ হোটেল রয়েছে। সবাইকে ‘অতিথি’ পোর্টাল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।