সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ফের ধুন্ধুমার লড়াই। বান্দরবনের নাইক্ষংছড়ি সীমান্তের ওপারে মায়ানমারের (Myanmar) আরাকান আর্মির সঙ্গে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। যার জেরে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে (Bangladesh) আশ্রয় নিয়েছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ১৪ জন সদস্য। এই খবর নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (BGB) ৩৪ নং ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার। ফলে এই মুহূর্তে দু দেশের পরিস্থিতিই উত্তপ্ত।
বেশ কয়েকদিন ধরেই মায়ানমার আরাকান আর্মি ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের সংঘর্ষে তপ্ত বাংলাদেশ, ভারতের সীমান্ত এলাকাগুলি। বিরামহীন গোলাগুলি চলছে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু, কোনারপাড়া, ভাজাবনিয়া ও বাইশফাঁড়ির মতো এলাকায়। আরাকান আর্মি (Aracan Army) ইতিমধ্যেই বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে। সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে মায়ানমারের আরাকান আর্মি। শত শত পরিবার যে যেদিকে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে।
[আরও পড়ুন: রাজ্যসভায় বিজেপির প্রার্থী কারা? দিল্লিতে চারজনের নাম পাঠাল বঙ্গের গেরুয়া ব্রিগেড]
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ৩৪ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবদুল্লাহ আল আশরোকি জানিয়েছেন, ”মায়ানমারে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। এর মধ্যে কয়েকজন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের উদ্ধার করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বিওপিতে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই ঘটনার পর বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মত, মায়ানমারে সেনা সংঘর্ষের জেরে থেকে এর আগে অনেকেই পালিয়ে ভারতে (India) আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশে বিজিপি সদস্যদের পালিয়ে আসার ঘটনা এই প্রথম।