সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভালো রোজগারের আশায় সমুদ্রপথে ইউরোপ (Europe)যাত্রা বাংলাদেশিদের কাছে নতুন কিছু নয়। তবে এ যাত্রা সুখকর নয়। প্রায় নৌকাডুবিতে প্রাণ হারাতে হয় তাঁদের। তার পরও অবশ্য থেমে নেই এই মরণযাত্রা। এবারও ভূমধ্যসাগরে ইউরোপ যাওয়ার সময় তিউনিসিয়ার উপকূলে নৌকায় আচমকা অগ্নিকাণ্ডের (Fire) জেরে প্রাণ গেল অন্তত ৯ জনের। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি (Bangladeshi) বলে জানা গিয়েছে।
ওই নৌকায় মোট ৫২ জন যাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার তিউনিসিয়ার (Tunisia) উপকূলে আচমকাই আগুন লেগে যায় নৌকাটিতে। সে দেশের নৌবাহিনী সেখান থেকে ৯ জন অভিবাসীর মৃতদেহের পাশাপাশি ৪৩ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। মৃতদের অধিকাংশই বাংলাদশি বলে ঢাকা সূত্রে খবর। আর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা এবং চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করতে দূতাবাস তিউনিসিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আইওএমের সঙ্গে সর্বক্ষণ যোগাযোগ করছে।
[আরও পডু়ন: সারদা দেবীকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র পোস্ট, তথাগতর তোপে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি]
আন্তর্জাতিক অভিবাস সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টায় ২০২৩ সালে তিন হাজারেরও বেশি অভিবাসীর হয় মৃত্যু হয়েছে, নয়ত তাঁরা নিখোঁজ হয়েছেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং লিবিয়া ও তিউনিসিয়ার নৌবাহিনী তাদের নজরদারি জোরদার করেছে। ফলে বর্তমানে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ যাত্রা অত্যন্ত বিপদজনক ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত জৈন সম্প্রদায়ের বর্তমান মহাবীর আচার্য বিদ্যাসাগর মহারাজ]
এই কারণে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে অভিবাসন প্রত্যাশী যুবাদের দালাল ও পাচারকারীদের প্ররোচনা-প্রতারণায় পড়ে এইরূপ জীবনের ঝুঁকি না নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়াও লিবিয়ায় কর্মরত বা বসবাসরত প্রবাসীদেরকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। একইসঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানকালে তাঁদের আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতদেরকেও সতর্ক করার পরামর্শ দেওয়া হয়।