সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জীবন থেকে প্রভাবিত হয়েই তো উপন্যাস ও চিত্রনাট্য তৈরি হয়। কর্ণাটকের কালবুর্গির এই ঘটনাও ঠিক তেমন। গর্ভবতী মহিলাদের প্রসবযন্ত্রণা উঠলে শুধু একটা ফোন। অটো নিয়ে ঠিকানায় চলে আসেন মল্লিকার্জুন। শহরের যে হাসপাতালে প্রয়োজন, সেখানেই পৌঁছে যাবে তাঁর অটো। পাঁচবছর ধরে এই সমাজসেবা করে চলেছেন মল্লিকার্জুন। এরজন্য কোনও পয়সা নেন না তিনি। মানবিক স্বার্থে করে চলেছেন এই কাজ। গর্ভবতী মহিলাদের পরিষেবায় কাজ করতে পারলেই খুশি তিনি।
[গণতন্ত্রের ‘বস্ত্রহরণ’ মিম, ‘দ্রৌপদী’ কার্টুনে বিতর্কে কংগ্রেস]
প্রসবযন্ত্রণা আগে থেকে বলে আসে না। কিন্তু হঠাৎ আসলে হাসপাতালে পৌঁছবেন কীভাবে ! গাড়ি পেতে পেতেই শেষ হয়ে যায় মা ও নবজাতকের জীবন। সেই কারণেই এই পরিষেবা শুরু করেছেন মল্লিকার্জুন। যে কোনও পরিস্থিতিতে তিনি পাশে দাঁড়ান ওই পরিবারের। কর্ণাটকের কালবুর্গি শহরে চারটি অটো আছে মল্লিকার্জুনের। সবক’টা অটোর পিছনে বড় বড় হরফে তাঁর নম্বর লেখা আছে। আর লেখা, গর্ভবতী মহিলাদের এমার্জেন্সি সার্ভিস দেওয়া হয়। গত পাঁচ বছরে প্রায় ১০০ জন গর্ভবতী মহিলা তাঁর অটোয় হাসপাতালে গিয়েছেন। গর্ভবতী মহিলাদের এই এমার্জেন্সি সার্ভিস দিতে পারলে খুশি হন তিনি। গত পাঁচবছর ধরে এই কাজ করে যাচ্ছেন কর্ণাটকের এই বাসিন্দা।
[নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রাজধানীতে উদযাপন সাধারণতন্ত্র দিবস]
কোনও সরকারি সাহায্য পান না মল্লিকার্জুন। প্রয়োজনও নেই তাঁর। নিজের উদ্যোগেই এই পরিষেবা শুরু করেছেন তিনি। কেন এই সমাজসেবা শুরু করেছেন তিনি! মল্লিকার্জুন বলেন, “পাঁচবছর আগে আমার গর্ভবতী বোন এই সমস্যায় পড়েছিল। প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল সে। এখানে কোনও অ্যাম্বুল্যান্স ছিল না। সেই সমস্যার কথা ভেবেই আমি এই কাজ শুরু করি। আমার অটোর পিছনে মোবাইল নম্বর লেখা আছে। মানুষ প্রয়োজন পড়লেই আমাকে ফোন করে।” যাতে অন্য কেউ এই ধরনের বিপদে না পড়েন, তাতেই এই পরিষেবা শুরু করেছেন মল্লিকার্জুন।
The post গর্ভবতীদের বিনামূল্যেই হাসপাতালে নিয়ে যান এই অটোচালক appeared first on Sangbad Pratidin.