shono
Advertisement

বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে হাসিনার পাশেই থাকবে দিল্লি, বিশ্বাস আওয়ামি লিগের

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে হাসিনার বৈঠকে আলোচনা।
Posted: 06:17 PM Nov 04, 2023Updated: 06:17 PM Nov 04, 2023

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে সমর্থন থাকবে নয়াদিল্লির (New Delhi)। এমনই বিশ্বাস শাসকদল আওয়ামি লিগের। তদুপরি ভারতের মদতপুষ্ট তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প উপ-অঞ্চলের জনগণের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও ভারত – উভয়ের জনগণের জন্য কল্যাণকারী হবে বলেই আশাপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। শেখ হাসিনা তাঁকে বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং আমি গত ১ নভেম্বর যৌথভাবে তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছি। আমি আশা করি, এই প্রকল্পগুলো উভয় দেশ এবং উপ-অঞ্চলের জনগণের উপকার করবে।’’ তিনটি প্রকল্প হলো, ১২.২৪ কিলোমিটার আখাউরা-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ, খুলনা-মংলা বন্দর রেল লাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট -২।

Advertisement

বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশেই সাধারণ নির্বাচন (General Election) ঘনিয়ে আসছে। উভয় দেশেরই একে অপরের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত। বৈঠকে উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার অবস্থা নিয়ে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। এদিকে কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে দিল্লির মাথাব্যথা নেই। কারণ, বাংলাদেশের (Bangladesh) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-ইইউসহ ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য রাখছে। তবে দিল্লি বরাবরই বলে আসছে, এটা বাংলাদেশের মানুষের নিজস্ব ব্যাপার। জনগণ যা চাইবে, সরকারও তাই করবে।

[আরও পড়ুন: আরও পাঁচ বছর ৮০ কোটি ভারতবাসীকে বিনামূল্যে রেশন, বড় ঘোষণা মোদির]

সূত্রের আরও খবর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারত প্রকাশ্যে এই বিষয়ে কিছু বলেনি এবং ধারণা করা হচ্ছে তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তার প্রতি সমর্থন থাকবে দিল্লির। বাংলাদেশ জানুয়ারির প্রথমার্ধ্বে যখন আরেকটি বিক্ষোভপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন দেশে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। রাজপথে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর লড়াই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: ‘বাবাকে জিজ্ঞেস করুন শুভেন্দু’, অধিকারী পরিবারের সম্পত্তির ‘পর্দাফাঁস’ কুণালের]

২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি (BNP) অংশগ্রহণ করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আয়োজনে ক্ষমতাসীন আওয়ামি লিগ ৯০ দিন আগে পদত্যাগ না করায় তা বর্জন করে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও রাজপথে হিংসার জন্য ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছিল দলটি। ২০১৯ সালে একই রাস্তায় হাঁটে বিএনপি। এবার বিএনপি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে তাদের সমর্থকরা যেন সহিংস না হয়ে ওঠে। কিন্তু ২৮ অক্টোবর হিংসায় এক পুলিশ সদস্য ও বিএনপি নেতা নিহত হয়েছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement