সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে অযোধ্যায় শুরু হল মসজিদ নির্মাণের কাজ। ৭২তম সাধারণতন্ত্র দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করল ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। মঙ্গলবার জমির মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। তার আগে অবশ্য বৃক্ষরোপণও করেন তাঁরা।
ছ’মাস আগে মসজিদ গঠনের জন্য তৈরি হয়েছিল ‘ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’। ট্রাস্টের সদস্যদের একাংশ চেয়েছিলেন, ২৬ জানুয়ারিই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হোক। যেহেতু ওই ঐতিহাসিক দিনেই ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হয়েছিল, তাই সেই দিনটিকেই তাঁরা বেছে নিতে চেয়েছিলেন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন হিসেবে। এদিন মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়নি। মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এরপর নকশা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।
[আরও পড়ুন : হিংসা কোনও সমস্যার সমাধান নয়, কৃষকদের ‘লালকেল্লা অভিযান’ ইস্যুতে মুখ খুললেন রাহুল]
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের প্রধান জাফর আহমেদ ফারুকি। তিনি বলেন, “মসজিদ তৈরির টেকনিক্যাল কাজ শুরু করলাম। মাটি পরীক্ষা ও নকশা অনুমোদনের কাজ শেষ হলে মসজিদ তৈরির কাজ শুরু হবে।” মসজিদ তৈরির জন্য অনুদানও চেয়েছে ট্রাস্টের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে অযোধ্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়ে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল ২.৭৭ একর জমিটি মন্দির নির্মাণের জন্য কোনও ট্রাস্টকে হস্তান্তর করতে হবে। পাশাপাশি সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণের জন্য অযোধ্যারই অন্যত্র ৫ একর জমি দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ সরকার মসজিদ নির্মাণের জন্য পাঁচ একর জমি দিয়েছে ধন্নিপুরে।
[আরও পড়ুন : মমতারও রামের উপর ভরসা আছে! ‘জয় শ্রীরাম’ বিতর্কে ‘দিদি’কে বিশেষ বার্তা শিব সেনার]
জানা গিয়েছে, বাবরি মসজিদের সমান আয়তনের এলাকা জুড়ে তৈরি হতে চলা মসজিদটিতে একসঙ্গে ২ হাজার জন নমাজ পড়তে পারবেন। বাবরি মসজিদের আকারের থেকে আলাদা হবে এই নতুন মসজিদের চেহারা। ১৫ হাজার বর্গফুট জমির উপরে তৈরি হতে চলা এই মসজিদটির আকার হবে ডিম্বাকৃতি।