অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: বায়ুসেনার আরজি মেনে রানওয়ে সংস্কারের প্রয়োজনে এপ্রিল মাসে বাগডোগরা বিমানবন্দর (Bagdogra Airport) ১৫ দিন বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল উড়ানের ওঠানামা বন্ধ থাকবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ওই বিমানবন্দর বন্ধের খবর মিলতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পর্যটন ব্যবসায়ী-সহ সাধারণ যাত্রীদের। পর্যটক ছাড়াও এখান থেকে উড়ানে প্রায় প্রতিদিন বহু রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য ভিন রাজ্যে। তাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে।
বিমানবন্দরের অধিকর্তা শুভ্রমণি পি জানান, বায়ুসেনার (Indian Air Force) তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, শেষ পর্যায়ের কাজের জন্য বিমানবন্দরে উড়ানের ওঠানামা বন্ধ রাখা জরুরি। সেই মতো নির্দেশিকা জারি করে ১৫ দিনের জন্য বিমানবন্দরের সমস্ত পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বায়ুসেনা দেড় বছর ধরে রাতেই কাজ করছিল। শেষ পর্যায়ের কাজের জন্য রানওয়েতে দিনে কাজ করা জরুরি। সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তাই আবেদন মেনে নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি রাজ্য সরকার-সহ দার্জিলিংয়ের জেলাশাসককে জানানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: স্কুলছুটদের ফের স্কুলে ফেরাতে হবে, জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাই কোর্টে]
বাগডোগরা বিমানবন্দরে প্রতিদিন ৩৬টি বিমান ওঠানামা করে। প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। এছাড়াও বাগডোগরা হয়ে বেশ কিছু বড় বিমান চলাচল করে। আবার এই বিমানবন্দরের উপর নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের পাশাপাশি সিকিম, বিহার ও অসম রাজ্যের মানুষও নির্ভরশীল। বিমানবন্দর একটানা বন্ধ থাকলে পর্যটন-সহ অন্য ব্যবসায় জড়িত বহু মানুষের রোজগারে ধাক্কা লাগবে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল বলেন, “এখন করোনা পরিস্থিতির জন্য বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা কম রয়েছে। এই সময় রানওয়ের মেরামতের কাজ করা যেতে পারত। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে কর্তৃপক্ষ এপ্রিল মাসে করছে। ওটা পর্যটনের মরশুম। তাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে আবেদন করেছি বিকল্প কোনও পথের জন্য।” তিনি জানান, “সুরাহা না মিললে বৃহত্তর আন্দোলনে যাব।”