সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বালোচিস্তানে (Balochistan) পাক (Pakistan) সেনা ও সরকারের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। ২০১৬ সালে বিবিসি প্রকাশিত সারা বিশ্বের ১০০ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী মহিলাদের তালিকায় নাম ছিল তাঁর। সেই করিমা বালোচের (Karima Baloch) রহস্যময় মৃত্যু হল কানাডার টরন্টোয়। রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন করিমা। ওই দিন দুপুর তিনটের পর থেকে তাঁকে কেউ দেখেনি। অবশেষে তাঁর পরিবারের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে মৃত্যুর বিষয়টি।
বালোচিস্তানের নারী আন্দোলনের মুখ ছিলেন করিমা। সেদেশে প্রবল জনপ্রিয় তিনি। যদিও বর্তমানে কানাডায় শরণার্থী হিসেবে থাকতে হচ্ছিল তাঁকে। তবে দেশের বাইরে থাকলেও বরাবরই বালোচিস্তানের প্রতি পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন এ্ই তরুণী। সুইৎজারল্যান্ডে রাষ্ট্রসংঘের অধিবেশনে তিনি ইমরান প্রশাসনের আগ্রাসনের ইস্যুটি সকলের সামনে তুলে ধরেছিলেন। ২০১৯ সালের মে মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে অভিযোগ জানান, বালোচিস্তানের মানুষের উপরে অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে পাক প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: নতুন করোনার সংক্রমণ এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি, আতঙ্কের মধ্যেই আশ্বস্ত করল WHO]
পাক প্রশাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলা সেদেশের কারও এই প্রথম এমন পরিণতি হল তা নয়। গত মে মাসেই বালোচ সাংবাদিক সাজিদ হোসেনের রহস্যমৃত্যু হয়েছিল সুইডেনে। তার আগে মাস দুয়েক তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। এমন উদাহরণ আরও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে করিমার মৃত্যু এক গুরুতর ঘটনা বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। হত্যার সম্ভাবনা ঘিরে জোরালো হচ্ছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ বছরে বালোচিস্তানের অস্থিরতা আরও বেড়েছে। অভিযোগ, সেখানে হাজার হাজার মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে পাকিস্তানি সেনা। এমনকী, তাঁদের অঙ্গও ধর্ষণের পরে বিক্রি করে দেওয়া হয় এমন অভিযোগও রয়েছে। ভারতও বালোচিস্তানের মানুষের উপর পাকিস্তানের নারকীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, বালুচিস্তানে প্রতিদিনই প্রিয়জনকে হারায় মানুষ।