রাজা দাস, বালুরঘাট: বিএসএফের হেফাজতেই যুবকের মৃত্যু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল বালুরঘাটের হিলির পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের চকগোপাল এলাকায়। হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিএসএফ কর্তারা। জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, ওই যুবককে বিএসএফের পক্ষ থেকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণার পর হাসপাতাল থেকে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তখন দেহ হেফাজতে নেয় পুলিশ। তবে সূত্রের খবর, বিএসএফের মারেই মৃত্যু হয়েছে যুবকের।
জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় হিলি থানার অন্তর্গত পাঞ্জুল গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে চকগোপাল বিওপির সীমান্তে পাচারকারী সন্দেহে ওই যুবককে আটক করে ১৩৭ নম্বর ব্যাটেলিয়ান। রাতে তাঁকে ক্যাম্প থেকে হিলি রুরাল হাসপাতালে নিয়ে যায় বিএসএফ। সেখানে তাঁকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। মৃত ব্যক্তির কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে খবর। রবিবার দুপুরে মৃতদেহ হিলি গ্রামীণ হাসপাতালে ডিডিওগ্রাফি করে মাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করেছে পুলিশ। তবে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিএসএফের শীর্ষ আধিকারিকরা। উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না মেলা পর্যন্ত এ বিষয় কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘মোদিজি ক্ষমা করলেন না’, লোকসভায় টিকিট না পেয়ে অভিমানী সাধ্বী প্রজ্ঞা]
রবিবার জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তাল বলেন, চিকিৎসক মৃত ঘোষণার পর হাসপাতাল থেকেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তখনই দেহ হেফাজতে নেয় পুলিশ। এর পর বিএসএফ একটি লিখিত অভিযোগ করে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই ‘পাচারকারী’কে ধরতে গেলে বিএসএফের সঙ্গে হাতাহাতি তাঁর হয়। সেই সময় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত করা হয়।