সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) ক্রমে শিকড় ছড়াচ্ছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। সম্প্রতি কলকাতায় তিন জামাত-উল-মুজাহিদিন জঙ্গি আটক হওয়ার পর বাংলাদেশেও সতর্ক হয়েছে সরকার। এহেন পরিস্থিতি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নামে জেহাদের পাঠ দেওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
[আরও পড়ুন: ফাঁসিকাঠে ‘পনির’, বাংলাদেশে মৃত্যুদণ্ড কুখ্যাত JMB জঙ্গির]
বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানিয়েছে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার-আল-ইসলামের’ তথাকথিত আধ্যাত্মিক নেতা মাহমুদ হাসান গুনবি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আড়ালে জেহাদি মতাদর্শ প্রচার করে যুবকদের মগজধোলাই করত। তার বক্তব্যে যারা উদ্বুদ্ধ হত, তাদের রাজবাড়ি, কক্সবাজার বা পার্বত্য এলাকায় নিয়ে সন্ত্রাসবাদের পাঠ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হত। রাজধানী ঢাকার শাহ আলি থানার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে মাহমুদ হাসানকেগ্রেপ্তার করে র্যাব। শুক্রবার কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদ হাসানের বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরা হয়। র্যাবের আইন ও মিডিয়া সেলের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মইন জানান, মাহমুদ হাসান দাওয়াতুল ইসলাম নামের একটি সংগঠনের আমির। নিষিদ্ধ না হলেও এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত অনেক সদস্য বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িয়েছে। বিভিন্ন সময় তাদের গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। মাহমুদ হাসানের কাছ থেকে এই ধরনের সদস্যদের বিষয়ে অনেক তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা জসিমউদ্দিন রহমানি গ্রেপ্তার হওয়ার পর মাহমুদ হাসান নিজেকে সংগঠনের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। রহমানির মাধ্যমেই আনসারে যোগ দিয়েছিল হাসান। বল রাখা ভাল, বাংলাদেশে একাধিক মুক্তমনা ব্লগার হত্যার নেপথ্যে রয়েছে আনসার। ফলে সংগঠনটির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হশীনার সরকার।