সুকুমার সরকার, ঢাকা: আরও বিপাকে বাংলাদেশের নোবেলজয়ী ড. মহম্মদ ইউনুস। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রাক্তন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মামলা খারিজ করে তাঁকে ১২ কোটি টাকা কর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার ইউনুসের দায়ের করা তিনটি মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। একইসঙ্গে, তাঁকে ১২ কোটি টাকা কর দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। উল্লেখ্য, ড. ইউনুসের কাছে ১৫ কোটি টাকা কর দাবি করে নোটিস দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই নোটিসের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তিনি মামলা করেছিলেন। দু’দিন আগে শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের দায়ে মহম্মদ ইউনুসকে প্রধান আসামী করে আরও ১২ জনের নামে ঢাকার একটি আদালতে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লক্ষ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিদেশে কাজ করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! কারখানার আগুনে পুড়ে মৃত্যু ৩ বাংলাদেশির]
বলে রাখা ভাল, বাংলাদেশে (Bangladesh) গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা চালু করেন মহম্মদ ইউনুস। গ্রামীণ টেলিকমের মাধতোমে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও মজবুত করেছেন ইউনুস বলেও মনে করেন অনেকে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠানেই বিস্তর আর্থিক কেলঙ্কারি হয়েছে বলে অভিযোগ। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বেআইনিভাবে শ্রমিক ও কর্মীদের মধ্যে বণ্টনের জন্য সংরক্ষিত লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ লোপাট।
শুধু তাই নয়, শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধের সময় অবৈধভাবে আইনজীবীর ফি-সহ অন্যান্য ফিয়ের নামে ছয় শতাংশ অর্থ কর্তন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। গ্রামীণ টেলিকম থেকে ২ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরও করা হয়েছে। শ্রমিকদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ-সহ এসব অভিযোগ জানায় শ্রমমন্ত্রকের অধীনস্থ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।