shono
Advertisement

Lockdown-এর মাঝেও বাংলাদেশে খুলে গেল কলকারখানা, কাজে যোগ দিতে শহরে ফেরার ভিড়

ঝুঁকি নিয়ে এখনই কাজে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই, ভিড় দেখে ঘোষণা আতঙ্কিত মন্ত্রীর।
Posted: 02:51 PM Aug 01, 2021Updated: 05:25 PM Aug 01, 2021

সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা (Coronavirus) অতিমারীতে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার হু হু করে বাড়ছে বাংলাদেশে। তা রুখতে চলছে কঠোর লকডাউন। কিন্তু আর্থিক লোকসানের বোঝা মাথায় যাতে চেপে না বসে, তার জন্য এই পরিস্থিতিতেও রবিবার, ১ আগস্ট থেকে খুলে দেওয়া হল কলকারখানা। মূলত যে সব কারখানায় রপ্তানিজাত সামগ্রী তৈরি হল, সেসব খোলার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রশাসন। শনিবারই জরুরিভিত্তিতে এই সংক্রান্ত নোটিস দিয়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আর সেই ঘোষণা শুনেই শনিবার থেকে তাড়াহুড়ো করে সকলেই ফিরতে চাইছেন কর্মস্থলে। তাতে করোনা বিধি লঙ্ঘনের ঘটনাও ঘটছে।

Advertisement

শনিবার ঢাকায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, রবিবার থেকে দেশের সমস্ত রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা (Factory) খুলে দেওয়া হবে। সকলে যেন কাজে যোগ দেন। এরপরই গ্রাম থেকে কোনও সামাজিক বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করেই ঢাকা-মুখী হয়েছেন লাখো লাখো মানুষ। ঢাকায় বস্ত্র-সহ অন্যান্য শিল্পকারখানা খুলে দেওয়ার খবরে সড়ক ও নৌপথে বেড়ে যায় ঢাকামুখী মানুষের ভিড়। লকডাউনের নবম দিন, শনিবার স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ফরিদপুর জেলার গোয়ালন্দ সংলগ্ন দৌলতদিয়া এবং মাদারিপুর জেলার বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড়ের ছবিতে আশঙ্কা বেড়েছে। পদ্মায় উত্তাল ঢেউ থাকায় লঞ্চ এড়িয়ে ফেরিতে গাদাগাদি করে নদীপথে পাড়ি দিয়েছেন ঢাকামুখী যাত্রীরা। এতে করোনা সংক্রমণের হার আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞ মহলের।

[আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা-সহ বাংলাদেশে বানে মৃত অন্তত ২২, কক্সবাজারে জলবন্দি লক্ষাধিক মানুষ]

এই দৃশ্য দেখে অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কষ্ট করে, ঝুঁকি নিয়ে বস্ত্রশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের এখনই কারখানার কাজে যোগ দিতে হবে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ৫ তারিখের পর আসার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের প্রতিশ্রুতি, ”কেউ চাকরি হারাবেন না।” কাজে যোগ দিতে করোনার ঝুঁকি নিয়ে, কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে পোশাকশ্রমিকদের ঢাকার উদ্দেশে যাত্রার বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে এ কথা বলেন তিনি। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি গতকালই BGMEA’র পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা হয়েছে। যাঁরা ঢাকায় (Dhaka) রয়েছেন, বিশেষ করে যাঁরা ইদে বাড়ি যাননি এবং যাঁরা ২২ জুলাইয়ের মধ্যে ফিরে এসেছেন তাঁদের নিয়েই মালিকরা কারখানা পরিচালনা করবেন। বাইরে থেকে তাঁরা কোনও কর্মীকে নিয়ে আসবেন না। যাঁরা এই পাঁচ দিন কাজ করবেন না, যাঁরা বাইরে আছেন- তাঁদের চাকরিতে কোনও সমস্যা হবে না। তাঁরা ৫ তারিখের পর ধাপে ধাপে আসবেন।” 

[আরও পড়ুন: ঋণের বদলে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব প্রদান! বিশ্ব ব্যাংকের ‘অন্যায়’ শর্তে ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement