সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশকে (Bangladesh) কাছে পেতে মরিয়া চিন। ভারতের প্রভাব খর্ব করতে ঢাকার জন্য ঋণের পসরা সাজিয়েছে বেজিং। অভিযোগ, ঋণের ফাঁদে ফেলে হাসিনা সরকারকে নিজেদের স্বার্থপূরণে ব্যবহার করতে চাইছে কমিউনিস্ট দেশটি। এবার সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
[আরও পড়ুন: ধর্ম বদল করে চতুর্থবার বিয়ে, স্ত্রীকে গর্ভপাতে চাপ, গ্রেপ্তার প্রতারক শিক্ষক]
শনিবার রাজধানী ঢাকায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিদেশমন্ত্রী মোমেন জানান, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়েছে বাংলাদেশ এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই। কারণ বিদেশে ঢাকার যত ঋণ আছে তার সামান্য অংশই চিন থেকে নেওয়া। তিনি আরও বলেন, ঋণের ফাঁদের জল্পনা আসলে চিন ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক তকত করে তলর ষড়যন্ত্র। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম জিনহুয়ার দাবি, আবদুল মোমেনের দাবি, এসব অভিযোগ তুলে ছিলেন ‘বেল্ট এন্ড রোড’ প্রকল্পটিকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মোমেন আরও জানান, বাংলাদেশের মোট জিডিপি’র ১৬ শতাংশই ঋণ রয়েছে। কোনও দেশের ঋণ যখন জিডিপি’র ৪০ শতাংশ দাঁড়িয়ে যায় তখনই সেটাকে ঋণের ফান্ড বলা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, মোমেন আশ্বাস দিলেও বিশ্লেষকরা মনে করছেন চিনা ঋণ বিপজ্জনক হয়ে ওঠতে পারে। পরিকাঠামো তৈরির নামে পাকিস্তানের মতোই বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে পারে বেজিং। বলে রাখা ভাল, গত কয়েকবছরে চিন থেকে নৌবাহিনীর জন্য টাইপ 053H3 ফ্রিগেট বা রণতরী কিনেছে বাংলাদেশ। বায়ুসেনার জন্য কে-৮ যুদ্ধবিমান, ট্রেনার বিমান ও সেনাবাহিনীর জন্য মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও চিন থেকে কিনেছে ঢাকা। বিগত দশকে এর জন্য প্রায় আড়াই বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে হাসিনা প্রশাসন। কিন্তু সেই সমস্ত হাতিয়ারের গুণগত মান ও কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলাদেশের ফৌজ। কারণ, একের পর এক যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে রণতরী-সহ অন্য হাতিয়ারগুলিতে। আর সেগুলিকে সারিয়ে তুলতে হাঁড়ির হাল বাংলাদেশের।