সুকুমার সরকার, ঢাকা: সেনা অভিযানের মুখে মায়ানমার (Myanmar) থেকে পালিয়ে আসা কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে। শুক্রবার উখিয়ার এমনই এক শিবিরে ঘটা অগ্নিকাণ্ডে তিন শরণার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে করোনার দাপট, বাংলাদেশে স্থগিত সব নির্বাচন, জরুরি সিদ্ধান্ত কমিশনের]
দমকল সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোরে উখিয়ার কুতুপালং বাজারে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখায় ৭টি কাপড়ের দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ লড়াইয়ের পর উখিয়ার ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতরা হচ্ছেন উখিয়ার ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১০ ব্লকের বাসিন্দা সৈয়দ আলমের ছেলে আনছার উল্লাহ (২০), ফরিদুল ইসলাম (২৫) ও আয়াছ (২২)। আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এই তিনজননের। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে তদন্ত না করে পুরোপুরি বলা সম্ভব নয় বলেই মত দমকলের। উল্লেখ্য, গত ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালি-সহ পাঁচটি আশ্রয় শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ৬ শিশু-সহ ১১ রোহিঙ্গা শরণার্থীর মৃত্যু হয়। পুড়ে যায় প্রায় ১০ হাজার ঘর।
এদিকে, কক্সবাজার থেকে নোয়াখালির ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ধাপের প্রথম পর্বে পাঠানো হল আরো ২ হাজার ১২৮ রোহিঙ্গাকে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় নৌবাহিনীর ছ’টি জাহাজে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে তাঁরা ভাসানচরে পৌঁছন। প্রসঙ্গত, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে মহিলা-পুরুষ ও শিশু-সহ ভাসানচরে পৌঁছয় ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি ৭, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর ক্লাস্টারে তাদের রাখা হয়। প্রথম ধাপে ভাসানচরে যাওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০, পুরুষ ৩৬৮ জন, মহিলা ৪৬৪ জন। এরমধ্যে পাঁচটি ধাপে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।