সুকুমার সরকার, ঢাকা: ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (RAB) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন জানাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ইংরাজি নববর্ষ উপলক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে শুভেচ্ছাবার্তা জানাতে গিয়ে লিখিতভাবে এই আবেদন করেছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। মার্কিন বিদেশসচিব (US Foreign Secretary) অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি লিখেছেন মোমেন। যদিও এখনও পর্যন্ত অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের তরফে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলেই খবর।
গত ডিসেম্বর, মানবাধিকার দিবসে গুরুতর অভিযোগে ব়্যাবের বর্তমান ও প্রাক্তন সাত আধিকারিকের উপর নিষেধাজ্ঞা (Ban) জারি করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ও বিদেশ মন্ত্রক। তাঁদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। এই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের ডিজি তথা ব়্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ। এছাড়া বর্তমান বেশ কয়েকজন আধিকারিকও রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের মে মাসে হত্যা করা হয় কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক। এই হত্যাকাণ্ড বিচারবহির্ভূত বলে অভিযোগ ওঠে। আর সেই হত্যাকাণ্ড গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে ওই ৭ জনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে র্যাবের পালটা দাবি, র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, বরং তা রক্ষা করে চলে।
[আরও পড়ুন: এক বছরে বাংলাদেশে যৌন নির্যাতনের শিকার হাজারেরও বেশি নারী ও শিশু, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য]
বাংলাদেশ বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, ইংরাজি নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে মার্কিন বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী (Foreign Minister) এ কে আবদুল মোমেন। সেই চিঠিতেই তিনি ব়্যাবের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ‘দুঃখজনক’ অ্যাখ্যা দিয়ে তা তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন। তবে এই পদক্ষেপ শুরু হয়েছিল আগেই। ঢাকার মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকেই সরাসরি অসন্তোষের কথা শুনিয়েছিলেন বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এরপর ১৫ ডিসেম্বর অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ফোন করেছিলেন আবদুল মোমেনকে। তাতে মোমেন তাঁকে জানান যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যেন তাঁদের অবগত করা হয়।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশি রোহিঙ্গাদের দিকে হাত বাড়াল ইন্দোনেশিয়া, সমুদ্রে ভাসমান ১২০ জনকে আশ্রয় দিতে রাজি]
নববর্ষের শুভেচ্ছাবার্তায় মোমেন উল্লেখ করেছেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমন ও মাদকবিরোধী অভিযানে র্যাব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছে। বেশ শক্তিশালী বাংলাদেশের এই ব্যাটেলিয়ন। ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে ব্লিঙ্কেনকে লেখা চিঠিতে আশা প্রকাশ করেছেন এ কে আবদুল মোমেন।