সুকুমার সরকর, ঢাকা: মায়ানমারে সরকারি বাহিনী ও রোহিঙ্গা জঙ্গিদের মধ্যে চলছে তীব্র লড়াই। সেই সংঘাতের আঁচ পড়ছে বংলাদেশেও। সীমান্তে জওয়ানদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে হাসিনা সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধি করে নতুন যুদ্ধবিমান পেল বাংলাদেশ।
রবিবার বাংলাদেশ ফৌজের ‘আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ’-এর বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে দ্বিতীয় কাসা-সি ২৯৫ ডব্লিউ মিডিয়াম ইউটিলিটি প্লেন। গতকাল তেজগাঁওয়ের পুরনো বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানে বিমানটির অন্তর্ভুক্তি হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো দে আসিস বেনিতেজ সালাস, সেনাসদরের শীর্ষ আধিকারিক, বিমানবাহিনী, বিজিবি, র্যাব আধিকারিক ও অন্যান্য অতিথিরা। স্পেনে নির্মিত বিমানটি রবিবার দুপুরে বাংলাদেশে পৌঁছয়। ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে যুদ্ধবিমানটিকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।
[আরও পড়ুন: মহালয়ার দিন মন্দিরে যাওয়ার পথে নৌকাডুবি, বাংলাদেশে মৃত অন্তত ২৪]
সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, কাসা-সি ২৯৫ বিমানটি হাতে আসায় ফৌজের শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। লড়াই বাঁধলে বিমানটিতে সওয়ার হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছে যেতে পারবে প্যারাট্রুপার বাহিনী। এছাড়া, এক জায়গা থেকে অন্য স্থানে দ্রুত ফৌজ পাঠানো, আকাশ থেকে নজরদারি, পণ্য পরিবহণ, ভিআইপি মিশন ছাড়াও বিপুলসংখ্যক জরুরি রোগী পরিবহণের জন্য ব্যবহার করা জাবে প্লেনটি। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় প্রয়োজনীয় ত্রাণ ও ওষুধসামগ্রী পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই বিমান।
উল্লেখ্য, ভূ-কৌশলগত কারণে ফৌজের শক্তিবৃদ্ধি করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। বিশেষ করে, মায়ানমারে চলা গৃহযুদ্ধে পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকেও প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। একাধিক গোলা বাংলাদেশের জমিতেও আছড়ে পড়েছে। ঢাকা এনিয়ে কমপক্ষে চারবার প্রতিবাদও জানিয়েছে মায়ানমারের কাছে। এই লড়াইয়ের জেরে আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে মায়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে রোহিঙ্গারা (Rohingya)। অনুপ্রবেশের জন্য ঘুমধুম তমব্রু সীমান্ত এলাকায় বেশকিছু রোহিঙ্গা জড়ো হয়েছে। সুযোগ পেলেই অনুপ্রবেশ করতে পারে তারা।