সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৫৫টি রেড জোনে ফের পর্যায়ক্রমে লকডাউন (lockdown) শুরু হল। এর মধ্যে সোমবার সকাল থেকে ঢাকার কালীগঞ্জ, মাধবদীর বিরামপুর এবং পলাশের চরসুন্দরে লকডাউন শুরু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুরের অন্যান্য এলাকাতেও জারি হবে। লোকবল না থাকায় সব জায়গা একসঙ্গে নয়, ধাপে ধাপে লকডাউন কার্যকর করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে আরও একাধিক এলাকায় লকডাউন হবে।
তবে কোন জোনে কবে থেকে শুরু হবে তা কৌশলগত কারণে আগাম প্রকাশ করা হবে না। এর ফলে এক এলাকার মানুষ অন্য এলাকায় গিয়ে থাকতেও পারবে না। প্রতিদিন সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট এলাকায় মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হবে। অবরুদ্ধ এলাকায় সাধারণ ছুটি থাকবে। সংক্রমণের ভিত্তিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৫টি এবং চট্টগ্রাম সিটির ১০টি এলাকাকে রেড জোন (Red zone) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটির ১৭ এবং দক্ষিণ সিটির ২৮টি এলাকা। এছাড়া নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার একাধিক উপজেলা আছে রেড জোনের তালিকায়। লকডাউন কার্যকর হলে এসব এলাকায় ১৪ থেকে ২১ দিন অবরুদ্ধ থাকবে। করোনা প্রতিরোধে গঠিত কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটি গত শনিবার বৈঠকে বসে এসব এলাকা চিহ্নিত করে।
[আরও পড়ুন: করোনায় প্রয়াত আওয়ামি লিগ নেতা নাসিমকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্ট, গ্রেপ্তার অধ্যাপিকা]
এপ্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিছু এলাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ঢাকার এলাকাগুলোতে আমরা সহযোগিতা করছি। কিন্তু নির্দেশ হচ্ছে, সিভিল সার্জেনরা নিজেরাই ঘোষণা করবেন। আমরা তাদের সহযোগিতা করব। এটা স্থানীয়ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হওয়াটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। লকডাউন সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এটি বাস্তবায়নে অনেক মন্ত্রক ও দপ্তরের আধিকারিকরা জড়িত। তাই এককভাবে কারও পক্ষে কোনও এলাকা লকডাউন করা সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সভাকক্ষে গত ১৩ জুন একটি বৈঠক হয়। তাতে সিদ্ধান্ত হয়, গত ১৪ দিনে প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যার ভিতরে ৬০ জন রোগী থাকার ভিত্তিতে এই রেড জোন ঘোষণা করা হচ্ছে। এটা শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামের জন্য প্রযোজ্য। বাকি জেলাগুলিতে ১৪ দিনের ভিতরে এক লক্ষ জনসংখ্যার ১০ জন থাকলে সেটাকে রেড জোন ঘোষণা করা হবে। রেড জোন ঘোষণা করা হলে সংশ্লিষ্ট এলাকা থেকে মানুষ নিজেদের সুবিধার জন্য অন্য এলাকায় চলে যান। চাকরিজীবীদের কেউ কেউ অন্য এলাকায় আত্মীয়ের বাসায় ওঠেন। কোনও রেড জোনেই সব লোকের করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয় না।
[আরও পড়ুন:করোনায় প্রয়াত বাংলাদেশের ধর্মীয় বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী]
The post সংক্রমণ বৃদ্ধির জের, ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৫৫টি এলাকায় ফের শুরু লকডাউন appeared first on Sangbad Pratidin.