সুকুমার সরকার, ঢাকা: তিস্তার জলবণ্টনে জোর দেবে বাংলাদেশ। আগামীকাল, বৃহস্পতিবার যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে বসছে দুই প্রতিবেশী ‘বন্ধু’ দেশ। দীর্ঘদিন ধরেই তিস্তা নদীর জল চাইছে ঢাকা। এনিয়ে এর আগেও একাধিকবার আলোচনা হয়েছে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে।
জানা গিয়েছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ২৫ আগস্ট। তার আগে মঙ্গলবার দিল্লিতে দুই দেশের জলসম্পদ মন্ত্রকের সচিব ও যৌথ নদী কমিশনের আধিকারীক পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা চলছে আজ বুধবারও। ঢাকার কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, জেআরসি-র মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের (Bangladesh) পক্ষ থেকে তিস্তা নদীর জলবণ্টন নিয়ে জোর দেওয়া হবে। এছাড়া, ২০২৬ সালে গঙ্গার জলবণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন করে এ নদীর জল বণ্টন ইস্যুটি প্রাধান্য পাবে। পাশাপাশি কুশিয়ারা, ফেনী, মুন, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার নদ নিয়ে আলোচনা করা হবে। বৈঠকে নদীতীর ব্যবস্থাপনা, বন্যার আগাম তথ্য-সহ নদী সংক্রান্ত সব বিষয়েই আলোচনা হবে।
[আরও পড়ুন: ‘নজর সামলে রাখুন’, পোশাক বিতর্কে বাংলাদেশ হাই কোর্টের সামনে বিক্ষোভ তরুণীদের]
জেআরসি বৈঠকে কোন বিষয় প্রাধান্য পাবে- জানতে চাইলে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, “এ বৈঠকটি প্রায় ১২ বছর পর হচ্ছে। দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক হচ্ছে, এটিই একটি ইতিবাচক দিক হিসেবে দেখতে চাই। আর এ বৈঠকের সময়টিও ভাল। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী মাসের প্রথমার্ধে ভারত সফরের আগেই বৈঠকটি হচ্ছে।”
বাংলাদেশের বিদেশ সচিব জানান, নদী বিষয়ে দুই দেশের অনেক ইস্যু রয়েছে। দুই দেশেরই সরকার চায় ইস্যুগুলো আলোচিত হোক। এবার বন্যার সময় পূর্বাভাসের তথ্য ভারত বাংলাদেশকে দিয়েছিল। এতে বাংলাদেশের লাভ হয়েছে। আগামীতে এটি আরও জোরদার করা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আমন্ত্রণে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার ভারত সফরের কথা রয়েছে। এর আগে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২১ সালে বাংলাদেশ সফর করে গিয়েছেন। ওই সফরে মোদি গোপালগঞ্জ জেলার ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের ধর্মস্থান পরিদর্শন করেন।