সুকুমার সরকার, ঢাকা: সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের (Rozina Islam) গ্রেপ্তারিকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ (Bangladesh)। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসনকে। দেশে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে বলেও উঠছে অভিযোগ। এহেন সময়ে বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন আশ্বাস দিয়েছেন যে ন্যায়বিচার পাবেন রোজিনা।
[আরও পড়ুন: করোনার প্রকোপে রোহিঙ্গারা, বাংলাদেশের ৩৪টি শরণার্থী শিবিরে বলবৎ লকডাউন]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিদেশমন্ত্রী মোমেন বলেন, “বিষয়টি বিচারাধীন। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে সরকার কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ করতে চায় না। বাংলাদেশের বিচার বিভাগ অত্যন্ত স্বাধীন। রোজিনা ইসলাম ন্যায়বিচার পাবেন। যে কোনও ব্যক্তির ক্ষেত্রেই বিষয়টি প্রযোজ্য। আমরা চাই না কেউ বিনা কারণে হেনস্তার শিকার হোক।” বিশ্লেষকদের মতে, সাংবাদিক রোজিনার গ্রেপ্তারিতে রীতিমতো চাপে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ঘরে ও বাইরে তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। ফলে খানিকটা ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে মাঠে নেমেছেন বিদেশমন্ত্রী। ন্যায়বিচারের আশ্বাস দিয়ে আপাতত পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত করতে চাইছেন মোমেন। কিন্তু তাঁর এই আশ্বাস সত্বেও বাংলাদেশে প্রতিবাদ থামছে না। এদিকে, বৃহস্পতিবার রোজিনার জামিন আবেদনের শুনানি হলেও কোনও রায় দেওয়া হয়নি। আদালত আদেশের দিন ধার্য করেছে রবিবার। বর্তমানে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে রয়েছেন ওই সাংবাদিক।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের একটি কক্ষে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয় রোজিনাকে। অভিযোগ, হেনস্তার শিকার হন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। রাতে তাঁকে শাহবাগ থানার কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করা হয়। তদন্তমূলক সাংবাদিকতার জন্য বাংলাদেশে জনপ্রিয় রোজিনা। অভিযোগ, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দুর্নীতি প্রকাশ্যে আনার জন্য একাংশের রোষানলে পড়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বিভিন্ন সংগঠনের পাশাপাশি আওয়ামি লিগ, বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা রোজিনার মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই মামলার তদন্তভার বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করা হয়েছে।