সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের এলিট ফোর্স ‘র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন’ বা র্যাব-কে নিয়ে আরও অস্বস্তি বেড়েছে বাংলাদেশের (Bangladesh)। এবার ঢাকার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলে জল্পনা তুঙ্গে। কংগ্রেসম্যান এবং বিদেশ বিষয়ক হাউস কমিটির চেয়ারম্যান গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস সেই আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জোর চেষ্টা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: পড়ানোর বিনিময়ে বেতন নয়, দু’বেলা ভাত চান! ভাইরাল বাংলাদেশি যুবকের বিজ্ঞাপন]
গত ডিসেম্বর, মানবাধিকার দিবসে গুরুতর অভিযোগে ব়্যাবের বর্তমান ও প্রাক্তন সাত আধিকারিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল আমেরিকার ট্রেজারি ও বিদেশদপ্তর। তাঁদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। এই তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ডিজি তথা ব়্যাবের প্রাক্তন কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ। এছাড়া বর্তমান বেশকয়েকজন আধিকারিকও রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালের মে মাসে হত্যা করা হয় কক্সবাজারের (Cox’s Bazar) টেকনাফের পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক। এই হত্যাকাণ্ড বিচারবহির্ভূত বলে অভিযোগ ওঠে। আর সেই হত্যাকাণ্ড গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে ওই ৭ জনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে র্যাবের পালটা দাবি, র্যাব মানবাধিকার লুণ্ঠন করে না, বরং তা রক্ষা করে চলে।
এই বিষয়ে সোমবার নিউ ইয়র্কে গ্রেগরি ডব্লিউ মিকস বলেন, “বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য জোর লবিং হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। আমরা নিশ্চিত করে বলতে চাই যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি না। আমরা এখনও বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সঙ্গে কাজ করছি।”
কংগ্রেসম্যান মিকস একজন প্রখ্যাত আইনজীবী। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে নিউইয়র্ক থেকে মার্কিন প্রতিনিধি ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং ২০২১ সাল থেকে বিদেশ বিষয়ক হাউস কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে তাঁর মন্তব্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মিকস জানান, মানবাধিকার পরিস্থিতি ও অন্যান্য বিষয় দেখতে তিনি এই বছর বাংলাদেশ সফর করবেন। তার আগে তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক কংগ্রেস সাব-কমিটির সঙ্গে কথা বলবেন। প্রয়োজনে তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে কংগ্রেসে শুনানির ব্যবস্থাও করবেন। এদিকে তহবিল সংগ্রহের মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেওয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সাজাপ্রাপ্ত খুনি রাশেদ চৌধুরী ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী আশরাফুজ্জামান খানকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান কংগ্রেসম্যান মিকসের কাছে।