সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনার বাড়বাড়ন্ত, লকডাউন। সংক্রমণ রুখতে লকডাউন (Lockdown) চলাকালীন ভারতের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। তবে স্বস্তির খবর, যাতায়াতের জন্য ৬টি সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। রবিবার থেকে বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারি স্থলবন্দর ছাড়াও আরও তিনটি স্থলবন্দর খোলা হয়েছে। ভারতে আটকে পড়া নাগরিকরা এই সীমান্ত দিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। এই খবরে স্বভাবতই খুশি তাঁরা।
কুষ্টিয়ার দর্শনা, দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি (Hili Border)ও রাজশাহির সোনামুখী দিয়ে লোকজন ভারত থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ইদের বন্ধের কারণে বাংলাদেশিরা বিশেষ পাস ইস্যু করতে না পেরে দেশে ফিরতে পারেননি। আগরতলা থেকে শনিবার পর্যন্ত ৬০০ জন বাংলাদেশি এই চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। এছাড়াও ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে কর্মরত ১৫ জন ভারতীয় নাগরিকও এই সময়ে বাংলাদেশে ফিরেছেন। আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমেগ্রেশন চেকপোস্ট পুলিশের ইনচার্জ আবদুল হামিদ জানান, ”মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে চেকপোস্ট দিয়ে সাধারণ যাত্রী পারাপার কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে ভারত এবং বালাদেশে আটকা পড়া যাত্রীরা দুই দেশের হাই কমিশনের অনুমতিপত্র নিয়ে এই চেকপোস্ট ব্যবহার করে নিজ দেশে ফিরতে পারছেন।”
[আরও পড়ুন: লকডাউনের বাংলাদেশে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, কর্মহীনদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছে শিশু-কিশোররা]
ভারতে ক্রমেই ভয়াবহ আকার নিচ্ছে করোনা মহামারী। তাই সংক্রমণ রুখতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত (Land port) দুই সপ্তাহ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে সীমান্ত বন্ধ থাকলেও বেনাপোল, আখাউড়া ও বুড়িমারি স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশের সুবিধা ছিল। তবে বুড়িমারি দিয়ে খুব অল্প সংখ্যক বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। যদিও এ সময় পণ্যবাহী যানবাহন আসাযাওয়া করেছে। বেনাপোল দিয়ে প্রচুর বাংলাদেশি ফিরে আসায় আশপাশের জেলাগুলিতে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই নতুন তিনটি বন্দর দিয়ে নাগরিকরা প্রবেশ করলে ওই জেলাগুলিতে তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে নতুন তিনটি সীমান্ত খুলে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাড়ছে লকডাউন, বাংলাদেশে আরও পিছিয়ে গেল স্কুল-কলেজ খোলার দিনক্ষণ]
বাংলাদেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অবশ্য কয়েকদিন যাবৎ মৃত্যুহার কমলেও করোনার দাপটে কাঁপছে বাংলাদেশও। ভারতে চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকেপড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফেরাতে রবিবার থেকে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট চালুর ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। এতে করে দীর্ঘ ১৪ মাস পর এই পথ দিয়ে দু’দেশের মধ্যে যাত্রীদের যাতায়াত চালু হচ্ছে।