সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের নয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন থেকে বাদ পড়ছে ‘ধর্ষিতা’ শব্দটি। বদলে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দটি প্রতিস্থাপন করার সুপারিশ করেছে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রক–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। সোমবার জাতীয় সংসদে সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংসদীয় স্থায়ী কমিটিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি।
[আরও পড়ুন: ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে বাধা দিচ্ছে বিদেশি শক্তি, অভিযোগ বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর]
জানা গিয়েছে, মূল আইনের ৯ (২) ধারা-সহ কয়েক জায়গায় ‘ধর্ষিতা’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’ শব্দটি বসাতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে ধর্ষিতা শব্দটি লিঙ্গ বৈষম্যের পরিচায়ক। সাধারণত, সংসদীয় কমিটি কোনও বিলের সংশোধনী আনলে সংসদ তা গ্রহণ করে থাকে। খসড়া আইন নিয়ে নিকট অতীতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ গ্রহণ না করার নজির নেই। উল্লেখ্য, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনী এনে গত ১৩ অক্টোবর অধ্যাদেশ জারি করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধান অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারির পর সংসদের প্রথম বৈঠকে তা উপস্থাপন করতে হয়। এরপর এটিকে আইনে পরিণত করতে হয়। ৮ নভেম্বর জাতীয় সংসদে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনী সংসদে তোলা হয়েছিল। তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য, নুসরত জাহান ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড-সহ একাধিক পাশবিক ঘটনার জেরে বাংলাদেশে (Bangladesh) কড়া আইন আনার দাবি জোরাল হয় ওঠে। দাবি ওঠে যে, ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। তারপরই ধর্ষণের মতো অপরাধ রুখতে গত অক্টোবর মাসে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ এর খসড়া অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।