সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিপুল ভোটে জিতে ফের বাংলাদেশের (Bangladesh) শাসনক্ষমতায় ফেরার পর আজ, রবিবার থেকেই কাজ শুরু হল বাংলাদেশের নবনির্বাচিত সরকারের। নতুন মন্ত্রিসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা নিজ নিজ মন্ত্রকে গিয়ে হাজিরা দেন। মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের বরণ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় (Dhaka) বঙ্গভবনে শপথ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী-সহ নতুন নতুন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী। এর পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রণালয় বণ্টনের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এদিন প্রধানমন্ত্রী পদে কাজ শুরুর আগে বিএনপি (BNP) নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে করে শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, ”তিনি বলছিলেন, আমরা নাকি ১০০ বছরে ক্ষমতায় আসতে পারব না। প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, তিনিও কখনও বিরোধী দলনেতাও হতে পারবেন না। চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। এই খুনি, চক্রান্তকারী, যুদ্ধাপরাধী যাদের বিচার করেছি, তাদের একটা চক্রান্ত আছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটা চক্রান্ত আছে। আমাদের ভৌগলিক অবস্থানের কারণে দেশটার প্রতি অনেকেরই নজর আছে। কাজেই এখানে বসে কেউ অন্য দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে, এখান থেকে কোনও দেশে আক্রমণ করবে, সেটা তো আমি মেনে নেব না। আমরা স্বাধীন- সার্বভৌম দেশ। আমাদের দেশ ছোট, কিন্তু জনসংখ্যা আছে। জনগণই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি।”
[আরও পডুন: সন্দেশখালিতে ইডির উপর ‘হামলা’য় ধৃত বেড়ে ৪, এখনও অধরা শাহজাহান]
এই মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়েছেন নিজের পৈতৃক বাড়ি গোপালগঞ্জে। তিনি অবসর জীবনটা গোপালগঞ্জে, তাঁর গ্রামের বাড়িতেই কাটাতে চান বলে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। শনিবার বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামি লিগের কার্যালয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এমনই বলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। তাঁর কথায়, ”কোটালিপাড়া-টুঙ্গিপাড়ার মানুষই আমার আপনজন। আমার এই নির্বাচনটাও তাঁরা করে দিয়েছেন। কাজেই আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি সবচেয়ে বড় সৌভাগ্যবান যে আমার নিজের জায়গা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। আমাকে সারা বাংলাদেশ দেখতে হয়। এবারের নির্বাচনও আপনারা করেছেন। বিশেষ করে নারীদের মিছিল দেখে এত ভালো লেগেছে যে বলতে পারব না!”