shono
Advertisement

আওয়ামি লিগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে, অভিযোগ হাসিনার

ফের বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন হাসিনা।
Posted: 04:07 PM Nov 04, 2020Updated: 04:07 PM Nov 04, 2020

সুকুমার সরকার, ঢাকা: ফের বিরোধীদের তুলোধোনা করলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার, জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনাসভায় হাসিনা অভিযোগ করেন, আওয়ামি লিগকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ট্রাম্প-বিডেন লড়াইয়ে কড়া নজর বাংলাদেশের, কোন দলের কী প্রত্যাশা?]

রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ’র দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় ঢাকার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, “জনসমর্থন না থাকলে ষড়যন্ত্র করে হত্যাকাণ্ড ঘটানো যায়, কিন্তু ক্ষমতায় আসা কিংবা টিকে থাকা যায়না। তাই আওয়ামি লিগকে নিয়ে যত বেশি নড়াচড়া কিংবা ষড়যন্ত্র করা হবে, আওয়ামি লিগের জনসমর্থনের শিকড় আরও বেশি শক্তিশালী হবে। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা জনগণের জন্য কাজ করি বলেই জনগণ আমাদের সমর্থন করে। সব সুবিধা একেবারে গ্রাম পর্যায়ের মানুষের ঘরের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়। সেই কারণে তারা আমাদের সমর্থন দেয়, সেই কারণে আমরা তাদের সমর্থন পাই।আওয়ামি লিগ তৃণমূল থেকে গড়ে উঠেছে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, আমাদের দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।”

এদিন বিরোধী দলনেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তোপ দেগে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের দেড় মাসের মাথায় জিয়া সরকারের পতনের উদাহরণ দেন হাসিনা। তিনি বলেন, “ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি একটা নির্বাচন করা হয়। যে নির্বাচনে কোনও দল অংশগ্রহণ করেনি। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে তাঁকে পদত্যাগ করে চলে যেতে হয়েছিল ভোট চুরির অপরাধে। খালেদা জিয়া ৩০ শে মার্চ পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এখনকার নির্বাচন নিয়ে যারা সমালোচনা করেন, তাঁদের ওই ভোটের পাশাপাশি জিয়াউর রহমান এবং হুসেইন মহম্মদ এরশাদের আমলের নির্বাচনগুলোর কথাও স্মরণ করা উচিত।” শেখ হাসিনা আরও বলেন, “বিএনপি’র জন্ম তো মাটি ও মানুষের মধ্য থেকে হয়নি। সেটা তো ক্যান্টনমেন্টে। জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান, সেই ঘোষিত রাষ্ট্রপতি, ক্ষমতায় বসে একটা নির্বাচনী প্রহসন করে তারপরে দল একটা গঠন করেছে। পরবর্তী এরশাদ ক্ষমতা দখল করে জিয়াকেই অনুসরণ করেন বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও তাদের অপকর্মের কারণে এদেশে ইমার্জেন্সি জারি হয়। ২০০৭-এ আসে সেই ১/১১ সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেনাবাহিনীতে ৯ জন জেনারেলকে ডিঙিয়ে জেনারেল মইনকে সেনাপ্রধান করেছিল খালেদা জিয়া। কাজেই সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল খালেদা জিয়ারই।সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নিজের গ্রেপ্তার হওয়ার কথা তুলে ধরে তখন বিরাজনীতিকরণের চেষ্টার কথাও বলেন আওয়ামি লিগ সভানেত্রী।

[আরও পড়ুন: পরীক্ষা বাতিল, কীভাবে পাশ করবে বাংলাদেশের পড়ুয়ারা? ঘোষিত মূল্যায়ণ পদ্ধতি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement