সুকুমার সরকার, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে আন্দোলনের কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় বাংলাদেশে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামানো হয় সেনা। এখন অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। কারফিউও শিথিল করা হয়েছে। এবার ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) যান তিনি। জখমদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আহতদের যথাযথ চিকিৎসার আশ্বাস দেন। বলেন, "দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। যাতে কেউ আর দেশবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।" এর আগে শুক্রবার হাসিনা যান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি)। ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কোটা আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে জামাত শিবির, বিএনপি ও ছাত্রদল এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। যারা এধরনের জঘন্য কাজ করেছে, তাদের খুঁজে বের করতে হবে।" আবেগতাড়িত কণ্ঠে বলেন, "এটি একটি খুব বেদনাদায়ক পরিস্থিতি। অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন। মৃত্যুমিছিল হবে আমি কখনই চাইনি। কিন্তু আজ বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটেছে।" আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে বলেন, "আহতদের চিকিৎসার জন্য যা যা প্রয়োজন, আমরা তা করব।" তিনি আরও বলেন, "আমরা ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছি, তাহলে আবার আন্দোলন কেন? এটা কি জঙ্গিবাদের সুযোগ তৈরি করার জন্য?"
[আরও পড়ুন: কথার মাঝেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক! নীতি-বৈঠক থেকে ওয়াকআউট মমতার]
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি ইউনিটে যান। তিনি চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান। শেখ হাসিনা বলেন, "বিএনপি-জামাত ও শিবির দেশের উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পাশাপাশি বিদেশে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যই দেশজুড়ে তাণ্ডব চালিয়েছে। মেট্রোরেল, যারা এসবের সঙ্গে জড়িত, সারা বাংলাদেশের আনাচকানাচে যে যেখানে আছে, তাদের খুঁজে বের করুন। তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য সহযোগিতা করুন।"