সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনাযুদ্ধে হাতে হাত মিলিয়ে লড়ছে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই। ভারত-বাংলাদেশ, প্রতিবেশী এই দু’দেশের মধ্যে দৃঢ়তর সম্পর্কের কারণে তারা মহামারীকালে আরও সংঘবদ্ধ। ভারতের তরফে করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে বাংলাদেশকে (Bangladesh)। আবার বাংলাদেশও ওষুধ ও করোনা চিকিৎসার সরঞ্জাম পাঠিয়েছে ভারতে (India)। এর আগে রেমডেসিভির পাঠিয়ে সাহায্য করেছিল। এবার পদ্মাপার থেকে এল আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূ্র্ণ ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম। বুধবার রাতের দিকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে চারটি ট্রাকে করে এসব পৌঁছল ভারতে। সেখান থেকে কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান ভারতীয় রেড ক্রস সোসাইটির হাতে তুলে দেন এসব সামগ্রী।
কী কী রয়েছে বাংলাদেশের পাঠানো করোনা চিকিৎসার সরঞ্জামের তালিকায়? জানা গিয়েছে, ১৮ রকমের ওষুধ, ইঞ্জেকশন, ভায়াল, স্যানিটাইজার। ২৬৭২টি বাক্সে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিক। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি BEXIMCOর তৈরি ইঞ্জেকশন বিদেশমন্ত্রকের নির্দেশে ভারতে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: ‘এই আমাদের আচরণ?’ বাংলাদেশে মহিলা সাংবাদিক নিগ্রহের তীব্র প্রতিবাদ জয়ার]
এর আগে ৬ তারিখ ১০ হাজার রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতে কোভিড পরিস্থিতিতে জনতার সুরক্ষার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ এই উদ্যোগ নিয়েছে। কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান সেবারও ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তে ভারত সরকারের প্রতিনিধির কাছে ১০ হাজার ‘ভায়াল’ রেমডেসিভির ইঞ্জেকশন হস্তান্তর করেন।তবে এর আগে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নারাভানে গত মাসে বাংলাদেশ সফরের সময় উপহার হিসেবে করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) এক লক্ষ ডোজ টিকা নিয়ে এসেছিলেন। তারও আগে মার্চে ১২ লক্ষ ডোজ টিকা উপহার দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। উপহারের ৩৩ লক্ষ ডোজ টিকার পাশাপাশি বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ৭০ লক্ষ ডোজ টিকা পাঠিয়েছে ভারত। এরপর বাংলাদেশ থেকেও আসছে ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম। ফলে করোনা কালে দু’দেশের এই আদানপ্রদান চলতেই থাকবে।