সুকুমার সরকার, ঢাকা: শীতের মরশুমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে পাঠানোর কাজ দ্রুত গতিতে চালাচ্ছে বাংলাদশ (Bangladesh) সরকার। শুক্রবার উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ২৭টি বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় শরণার্থীরা। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কোবিন্দের সফরেই বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গ উত্থাপন ভারতের]
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তায় দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, অষ্টম দফায় সাড়ে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গার দুটি দল উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। আরও বেশ কিছু রোহিঙ্গার যাওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ১৫৬টি রোহিঙ্গা পরিবার রয়েছে। বলে রাখা ভাল, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর থেকে সাত দফায় প্রায় ১৯ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে গিয়েছে সরকার। এ ছাড়া গত বছরের মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টাকালে ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক চাপ উড়িয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে পাঠানোর কাজ দ্রুত গতিতে চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশাসন জানিয়েছে, দ্বীপটিতে শরণার্থীদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এপর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার রোহিঙ্গাকে সমুদ্রের মাঝে বিচ্ছিন্ন দ্বীপটিতে পাঠানো হয়েছে। মোট ১ লক্ষ শরণার্থীকে ভাসানচরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে ঢাকার। তবে ঝঞ্ঝাপ্রবণ দ্বীপে শরণার্থীদের পাঠানো নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মঞ্চ।
এদিকে, হাসিনা প্রশাসনের কথায়, নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা খরচ করে এক লক্ষ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে উন্নতমানের আবাসস্থল তৈরি করা হয়েছে। সেখানে প্রত্যেক পরিবারের জন্য আলাদা ঘর, আধুনিক স্যানিটারি পদ্ধতি, বিশুদ্ধ খাবার জল, স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য হাসপাতাল ও ক্লিনিং এবং বাচ্চাদের শিক্ষাদানের জন্য সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, মিডিয়ার কল্যাণে এর সবকিছু সবাই দেখেছে। ভাসানচরে ক্যাম্পের ভিতরে কক্সবাজারের মতো নিরাপত্তা সমস্যা যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য শতভাগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।তাই শরণার্থীদের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।