সুকুমার সরকার, ঢাকা: লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছে চিন। এর ফলে দিল্লির সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু, সেই আশঙ্কা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ডা. একে আবদুল মোমেন (Dr AK Abdul Momen)।
শনিবার মেহেরপুরের মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক দেওয়ার পর এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্ত (blood) আর চিনের সঙ্গে অর্থের সম্পর্ক। কোনও পরিস্থিতিতেই ভারতের সঙ্গে আমাদের যে নাড়ির টান রয়েছে তা ছিন্ন হওয়ার নয়। চিন বাংলাদেশের আট হাজারের বেশি পণ্যসামগ্রীকে বিনা শুল্কে নিজেদের দেশে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের অনেক লাভ হলেও তার জন্য ভারতের সঙ্গে থাকা সম্পর্কে কোনও প্রভাব পড়বে না। কারণ ভারত যেভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে তা আমরা কোনওদিন ভুলতে পারব না। আমাদের জয় বা উন্নয়ন মানেই ভারতের জয় বা উন্নয়ন বলে মনে করি আমরা। তবে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে তাদের সঙ্গে যেমন ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে তেমনি চিনের সঙ্গে আছে। আর চিন যেমন বিনা শুল্কে তাদের দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানির সুযোগ দিয়েছে ভারতও তাই করবে বলে আমরা আশাবাদী।’
[আরও পড়ুন: ‘স্বাধীনতা আন্দোলনে মা ছিলেন বাবার সহযোদ্ধা’, বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর জন্মদিনে স্মৃতিচারণা হাসিনার ]
এই প্রসঙ্গে কথা বলার ফাঁকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিষয়ে হাসিনা সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে চান সাংবাদিকরা। এর জবাবে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের শাস্তি দেওয়ার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। মুজিববর্ষ উদযাপনের মধ্যেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে থাকা খুনিদের এখানে নিয়ে এসে বিচার করে যোগ্য শাস্তি দেওয়া হবে। এর জন্য প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে এর সুফলও পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের শিবিরে করোনার থাবা, আক্রান্ত ১১ ফুটবলার]
The post ‘ভারতের সঙ্গে রক্ত আর চিনের সঙ্গে অর্থের সম্পর্ক’, বলছেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী appeared first on Sangbad Pratidin.