সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা সংক্রমণ রুখতে শনিবারই সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ (Bangladesh) প্রশাসন। সোমবার থেকেই তা কার্যকর করা হচ্ছে। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সে দেশের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সোমবার থেকে সমস্ত গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত সড়ক, রেল, নৌ, অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচল নিষিদ্ধ। ছাড় মিলবে শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায়। লকডাউন (Lockdown) চলাকালীন দেশবাসী কী কী করতে পারবেন আর কী পারবেন না, সে বিষয় বিস্তারিত জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী।
তবে পণ্য পরিবহণ, জরুরি পরিষেবা, জ্বালানি, ওষুধ, পচনশীল, ত্রাণবাহী পরিবহণ, সংবাদপত্র – এসব সামগ্রী নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। খাবারের দোকান খোলা থাকবে। সেখান থেকে খাবার কিনে আনা যাবে। তবে দোকানে বসে খাওয়া নিষিদ্ধ। বন্ধ থাকবে শপিং মল। তবে অনলাইনে কেনাকাটা করা যাবে। কাঁচা সবজির বাজার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ব্যাংকিং ব্যবস্থা সীমিত পরিসরে চালু থাকবে।
[আরও পড়ুন: ফের লকডাউন বাংলাদেশে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে কড়া প্রশাসন]
করোনা ভাইরাসের (Coronavirus) সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি সামাল দিতে সারা দেশ লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশে লকডাউন দেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে কয়েকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল প্রশাসনিক স্তরে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছিলেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও। এই পরিস্থিতিতে শনিবার দুপুরের আগে অনেকটা আকস্মিকভাবে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক ভিডিও বার্তায় জানান, করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে। লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। তাই পরিস্থিতিতে সরকার সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য গোটা বাংলাদেশে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মোদি বিরোধী বিক্ষোভের নেপথ্যে পাকিস্তান! উঠছে চাঞ্চল্যকর দাবি]
তবে লকডাউন শুরুর আগেই এর প্রতিবাদে ঢাকার নীলখেত এলাকায় বিক্ষোভ দেখান কয়েকজন। গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন ভাঙচুর করেন। রবিবার বিকেলের দিকে নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা, ঢাকা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।