নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: শিকেয় আইনশৃঙ্খলা। ইউনুসের বাংলাদেশে জঙ্গলরাজ! এবার চর দখলকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর খেয়োখেয়ি। প্রকাশ্যে গোলাগুলি। প্রাণ গেল পাঁচ জনের। আহত আরও ১০। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল নোয়াখালি জেলার হাতিয়া উপজেলায় চর দখলকে কেন্দ্র করে দু'পক্ষের সংঘর্ষ হয়। স্থানীয়রা বলছেন, দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের সময় গুলিতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে হাতিয়া উপজেলার সুখচর ইউনিয়নের ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীমান্তবর্তী জাগলার চর গ্রামে দু'পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়। নিহতদের মধ্যে একজনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে বাকি চারজনের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জাগলার চরের জমি সরকার এখন পর্যন্ত কাউকে বরাদ্দ করেনি। এই সুযোগে ৫ আগস্টের পর জাহাজমারা ইউনিয়নের কোপাসামছু বাহিনী জাগলার চরের বেশ কিছু জমি বিক্রি করে। এরপর সুখচর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন বাহিনী জাগলার চরের জমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে আলাউদ্দিন বাহিনী আরও বেশি দামে কিছু জমি বিক্রি করে। এরপর দু'টি গোষ্ঠী আলাদা আলাদাভাবে চরের জমি বিক্রির চেষ্টা চালায়। এ নিয়ে দুটি গোষ্ঠী একাধিকবার বিরোধে জড়ায়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে কোপাসামছু ও আলাউদ্দিন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে গুলিযুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে অপরপক্ষের ছোড়া গুলিতে আলাউদ্দিন-সহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে আলাউদ্দিনকে উদ্ধার করে নোয়াখালি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। চারজনের মরদেহ ঘটনাস্থলে পড়েছিল। মনে করা হচ্ছে-নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
হাতিয়া থানার ওসি মহম্মদ সাইফুল আলম বলেন, একটি মরদেহ নোয়াখালি জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। চারটি মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চল হওয়ায় বিকেল সাড়ে ৪ টের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই ঘটনা আরও একবার বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। এত দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোয় উঠছে পুলিশি গাফিলতির অভিযোগও।
