সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনার পতনের পর 'বদলার রাজনীতি' চলছে বাংলাদেশে। প্রাক্তন আওয়ামি লিগ সরকারের শতাধিক মন্ত্রী-সাংসদকে বিভিন্ন মামলায় গরাদের পিছনে পাঠানো হয়েছে। এবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা, ভাঙচুর ও খুনের চেষ্টার মামলায় হাসিনাপন্থী ৮৪ জন আইনজীবীর জামিন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, গতকাল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ৯৩ জন আইনজীবী আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। তাঁরা সকলেই আওয়ামির সমর্থক বলেই খবর। এদিন দুপুর সাড়ে ৩টের দিকে শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিকাল ৫টায় আদালত ৮৪ জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। তাঁদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ৯ আইনজীবীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করা হয়। এরমধ্যে ৮ জনই মহিলা আইনজীবী।
এর আগে গত ৪ আগস্ট আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের উপর হামলা, চেম্বার ভাঙচুর ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আওয়ামিপন্থী ১৪৪ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মহম্মদ আলি বাবু। এ ঘটনায় হাই কোর্ট থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন ১১৫ জন। ৭ এপ্রিল অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার একদিন আগেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ৯৩ আইনজীবী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বারের প্রাক্তন সভাপতি সাইদির রহমাম মামিক, শাহ আলম, মাহবুবুর রহমান, আবু সাইদ সাগর, আসাদুর রহমান রচি, সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি নজরুল ইসলাম শামিম-সহ বারের প্রাক্তন সদস্যরা।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বেলা ১২টার দিকে আসামিরা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সম্মুখ থেকে বেআইনিভাবে আবদ্ধ হয়ে অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। তাঁরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ‘শেখ হাসিনার ভয় নাই’, ‘রাজপথ ছাড়ি নাই’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় ভুক্তভোগী আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য মহম্মদ আলি বাবু মামলার শুনানি শেষ করে ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আসেন। তখন আসামি আনোয়ার শাহাদাৎ শাওন হেলমেট পরে পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্দেশে গুলি তাক করেন। আসামি ওয়াকিল লোহার রড দিয়ে তাকে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। এতে তিনি গুরুতর জখম হন।