সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত কয়েকমাস ধরে মৌলবাদীদের তাণ্ডবে উত্তাল বাংলাদেশ। চরমে হিন্দু নির্যাতন। পদ্মাপারের অশান্তি স্বাভাবিকভাবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে দিল্লির। এই পরিস্থিতিতে ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিসরির সঙ্গে বৈঠকে 'হিন্দু নির্যাতন'কে অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করে দায় ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করলেন বাংলাদেশের বিদেশসচিব মহম্মদ জসীমউদ্দিন। তাঁর কথায়, "এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অন্য দেশের মন্তব্য সমীচীন নয়। বাংলাদেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করে না। তাদেরও আমাদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।" মুজিবকন্যা হাসিনাকেও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিল ইউনুস সরকার।
হিংসার আবহেই ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ভারত ও বাংলাদেশের দুই বিদেশ সচিব। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সরকারি অতিথি ভবন পদ্মায় মুখোমুখি হন ভারতের বিক্রম মিসরি ও বাংলাদেশের মহম্মদ জসীমউদ্দিন। সরকারি সূত্রে খবর, বৈঠকে সামগ্রিকভাবে দুদেশের পারস্পরিক একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। সেখানেই বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকা যে বিশেষ পছন্দ নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন সেদেশের বিদেশসচিব। তিনি বলেন, “এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। অন্য দেশের মন্তব্য সমীচীন নয়। বাংলাদেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করে না। তাদেরও আমাদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো উচিত।” তাঁর দাবি, বাংলাদেশে সকলে স্বাধীনভাবে নিজের ধর্ম পালন করছেন। অন্যদেশের সংবাদ মাধ্যমে অপব্যাখ্যা হচ্ছে। এদিনের কথায় স্পষ্ট যে, ওপার বাংলার পরিস্থিতিতে ভারতের কোনও প্রকার হস্তক্ষেপই চাইছে না বাংলাদেশ।
এখানেই শেষ নয়। এদিন ভারতের বিদেশসচিবের কাছে মুজিবকন্যা শেখ হাসিনার উদ্দেশেও ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছে ইউনুস সরকার। স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এদেশে বসে বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য পছন্দ করছে না তাঁরা। মহম্মদ জসীমউদ্দিনের কথায়, "শেখ হাসিনা ভারতে বসে যে বক্তব্য দিচ্ছেন তা আমাদের পছন্দ নয়।" জসীমউদ্দিন বলেন, এই বিষয়টি মুজিবকন্যাকে জানানোর কথা তিনি বলেছেন মিসরিকে।