সুকুমার সরকার, ঢাকা: সংরক্ষণ বিরোধী আন্দোলন আপাতত থেমে গেলেও রেশ রয়ে গিয়েছে বাংলাদেশে। বিশেষত অশান্ত কয়েকদিন যে পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, জনজীবনে যেভাবে আঘাত নেমে এসেছে, সেসব হিসেবনিকেশ করতে গিয়ে হিমশিম দশা প্রশাসনের। ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলি দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে উঠছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। অশান্তিতে জখম এক শিশুকে এবার হাসপাতালে দেখতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। কান্নাকাটির পর ওই শিশুর কপালে আলতো স্নেহচুম্বন দিলেন। আশ্বাস দিলেন, অসহায়দের পাশে রয়েছে তাঁর সরকার।
সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণ (Quota) নিয়ে সংস্কার আন্দোলনে দিন কয়েক আগে কার্যত আগুন জ্বলে উঠেছিল বাংলাদেশে (Bangladesh)। আন্দোলনের নামে লাগাতার অশান্তি, প্রাণহানির জন্য অনুপ্রবেশকারী বিএনপি-জামাত (BNP-Jamat) শিবিরকেই দায়ী করে সরকার। পরিস্থিতি খানিকটা শান্ত হলে হিংসায় জখমদের দেখতে ঢাকার শহিদ সোহরাওয়ার্দি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে জখম এক শিশুকে দেখে নিজের আবেগ আর সংবরণ করতে পারেননি। ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন। তার পর ওই শিশুর কপালে চুমু দেন।
[আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত বাকিবুরকে চালের বরাত দেওয়া বন্ধ, আদালতে কী জানাল রাজ্য?]
এর আগে গত কয়েকদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী হিংসার (Unrest) শিকার ব্যক্তিদের পরিদর্শন করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন পঙ্গু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় তিনি আহতদের যথাযথ চিকিৎসার আশ্বাস দেন এবং তাদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তার আগে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ নম্বরে মেট্রোরেল স্টেশন, রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন, মহাখালিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও সেতু ভবন এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা পরিদর্শন করেন। এসব প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতির অবস্থা দেখে সেসময়ও শেখ হাসিনা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।