সুকুমার সরকার, ঢাকা: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা-সহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার এই রায়দান সরাসরি সম্প্রচারিতও হবে। একই সঙ্গে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বড় পর্দায় দেখানো হবে। ওইদিন ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামি লিগ। রাজধানী ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামি লিগের নেতাকর্মীরা নাশকতা চালাতে পারে বলে জনমনে আশঙ্কা ও উদ্বেগ রয়েছে। এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের আর্জি জানিয়ে সেনাসদরে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিকাণ্ড এবং হাতবোমা বিস্ফোরণের মতো সহিংস ঘটনা রুখতে ৪ জেলায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ছাড়া মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার মধ্যে মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ১৩ নভেম্বর দুপুর ১২টা ৯ মিনিটে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারকের প্যানেল এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। ট্রাইবুনালের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুর জেলায় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় যানবাহনে আগুন, হাতবোমা বিস্ফোরণ, সড়ক অবরোধের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তাই নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, "আমাদের বাহিনী মোতায়েন আছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় ১৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারিপুরে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে তাঁরা। এদিকে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা-সহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সোমবার রায়ে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির।
