সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে যখন ভারতবিদ্বেষ বাড়ছে বাংলাদেশে, তখন মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের পাকিস্তান প্রীতি প্রকাশ্যে। রবিবার ইউনুসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার। বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা-সহ একাধিক বিষয়ে ঢাকাকে সাহায্য করবে ইসলামাবাদ, আশ্বাস দিয়েছেন পাক হাইকমিশনার। বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন, কৌশলে দিল্লি চাপে ফেলতেই ঢাকা-ইসলামাবাদ গলাগলি।
রবিবার ঢাকার অতিথি ভবন যমুনায় ইউনুস-হায়দার বৈঠক ছিল। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টারের দপ্তরের তরফে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বিমান যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে একমত হয়েছে উভয়পক্ষ। এছাড়াও সংস্কৃতি, শিক্ষা ও চিকিৎসা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ ও সহযোগিতার বিষয়ে ইউনুসের সঙ্গে কথা হয়েছে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের।
বৈঠকের বিষয়ে পাকিস্তানের হাইকমিশনার জানান, গত বছরের তুলনায় দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ২০ শতাংশ বেড়েছে। তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ও বেড়েছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে আগ্রহী। বিশেষ করে চিকিৎসাবিজ্ঞান, ন্যানোটেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ক্ষেত্রে উৎসাহ রয়েছে। হাইকমিশনার ইমরান হায়দার বলেন, লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালগুলোতে যাওয়া বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে। পাকিস্তানের হাইকমিশনার জানান, ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট আগামী জানুয়ারিতে চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
স্বভাবতই পাকিস্তানের আশ্বাসে আপ্লুত ইউনুস। স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা কিংবা বাণিজ্য, এতদিন সব কিছুতেই সাহায্য করেছে ভারত। হাত পেতে দিল্লির সেই সাহায্য গ্রহণও করেছে ঢাকা। কিন্তু ভারতবিদ্বেষ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকতে খানিকটা বাধ্য হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। কার্যত জাঁতাকালে পড়েছে তারা। ভারতকে গালমন্দ করে ভারতে এসেই চিকিৎসা, শিক্ষা নেওয়া কী করে সম্ভব! যদিও প্রশ্ন উঠছে, পাকিস্তানের দেউলিয়া সরকার কতটা সাহায্য করতে পারবে ইউনুসকে? তারা নিজেরাই তো ঋণি জর্জরিত। শিক্ষা থেকে প্রযুক্তি, সব সেখানে মান্ধাতা আমলের। সময়ের থেকে অনেক পিছিয়ে। আদৌ পাকিস্তানিরা কী শেকাতে পারবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে?
