নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: এত বছর পরও বাংলাদেশের জনসমর্থন পেতে বিএনপি-র ভরসা দলের সুপ্রিমো, মুমূর্ষু খালেদা জিয়াই (Khaleda Zia)। অতি সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই তাঁকে লড়তে হচ্ছে তিনটি আসনে। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। একইসঙ্গে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে হবে গণভোট। সেই নির্বাচনেই বগুড়া-৭, ফেনী-১ ও দিনাজপুর-৩ আসনের প্রার্থী করা হয়েছে খালেদাকে। সদ্য দেশে ফেরা খালেদাপুত্র তারেকও লড়বে দুই আসনে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত, মা-ছেলেকে একাধিক আসনে প্রার্থী করাটা বিএনপি-র নয়া নির্বাচন কৌশল। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে মনে করছে বাংলাদেশের অন্যতম বিরোধী দলটি।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবশ্যই বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের আসনগুলি। বগুড়া ৬ আসনের পাশাপাশি ঢাকা ১৭ আসন থেকেও লড়াই করবেন তারেক। অর্থাৎ, শুধু জামাত নয় এবার সরাসরি এরশাদের জাতীয় পার্টিকেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছেন খালেদাপুত্র। এদিন সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে বেলা ১১টায় তারেক রহমানের মনোনয়নের ফর্ম সংগ্রহ করা হয়। তা সংগ্রহ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আবদুস সাত্তার।
এরপরই বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলের চেয়ারপার্সন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। বগুড়া-৭, ফেনী-১ ও দিনাজপুর-৩ আসনের প্রার্থী খালেদা। তবে শনিবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে বলে খবর। যদিও দলীয় সূত্রে আরও খবর, এখনই চূড়ান্ত করে কিছু বলা যাবে না। কৌশলগত কারণে রদবদল হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দলীয় নেতৃত্বে বিএনপির নির্বাচনী কৌশলকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। যা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে দলের শক্তি ও প্রভাব আরও দৃঢ় করার চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। সহজভাবে বলতে গেলে, খালেদা আবেগকে হাতিয়ার করে বিএনপি ফের ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করছে। খালেদা নিজের আসনে জিতে যাওয়ার পর যদি চরম কোনও ঘটনা ঘটে, সেক্ষেত্রে তারেককে ওই আসনের ক্ষমতায় আনা হতে পারে।
