সুকুমার সরকার, ঢাকা: হাসপাতালে ভরতি রোগীদের চিনের মতো ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হবে। এমন গুজবে দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা ভোলার মনপুরার ৫০ শয্যার হাসপাতাল থেকে রোগীরা পালিয়ে গিয়েছেন। সেই দিন না বলে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী হাসপাতাল ছেড়ে ভয়ে পালিয়ে যায়। সেই দিন থেকে গুজবে হাসপাতালে রোগী ভরতি হতে আসছেন না বলে জানালেন অনেকে। উপজেলা ৫০ শয্যা হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহমুদুর রশিদ জানান, আচমকা গুজবে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হচ্ছে না।
এই রকম গুজবের কথা শোনার পর সর্তকতা মাইকিং করানো হয়। এছাড়াও একটি টিম বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতা-সহ গুজবে কান না দিয়ে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে ভরতি হয়ে সেবা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত রোগী এসেছিল এমন গুজবে দেশের পশ্চিম জনপদ জেলা মাগুরার হাসপাতালটিতে গত কয়েকদিন ধরে ভরতি হতে আসছেন না কোনও রোগী। করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ সবখানেই কমেছে রোগীর সংখ্যা। আগে যেখানে রোগী সামাল দিতে হিমশিম খেতে হত এখন সেখানে হাসপাতালের বেশিরভাগ বেড খালি পড়ে আছে।
[আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে আরও ১ জনের মৃৃত্যু, বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা]
বুধবার জেলা সদরের এই হাসপাতালে মার্চের প্রথম সপ্তাহের তুলনায় বহি:র্বিভাগে রোগী কমেছে ছয় ভাগের পাঁচ ভাগ। অন্ত:র্বিভাগে আগের তুলনায় ভর্তি নেমে এসেছে অর্ধেকেরও কমে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, এই সময়ে জ্বর, সর্দি-কাশির রোগীই বেশি আসে। কিন্তু তাদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী থাকতে পারে আশঙ্কার কারণেই কমেছে রোগীর সংখ্যা। গত ৮ মার্চ প্রথম যেদিন বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয় সেদিন এই সংখ্যা ছিল ১৩৬৭ জন। ১৯ দিনের ব্যবধানে রোগী নেমে এসেছে ছয় ভাগের এক ভাগে। একই চিত্র দেখা গিয়েছে জেলার শ্রীপুর, শালিখা ও মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে।
[আরও পড়ুন: প্রায়শ্চিত্তের চেষ্টা! করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি চিনের]
The post চিনের মতো ইঞ্জেকশন দিয়ে মেরে ফেলা হবে! গুজবে বাংলাদেশে রোগীশূন্য দুই হাসপাতাল appeared first on Sangbad Pratidin.
