shono
Advertisement
BNP

'দেশে নৈরাজ্য আরও বাড়বে', হিংসার আগুন নিভিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইউনুসকে চাপ বিএনপির

দিকে দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 05:34 PM Feb 07, 2025Updated: 05:38 PM Feb 07, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত দুদিন ধরে ‘বিপ্লবী' ছাত্রদের তাণ্ডবে উত্তাল বাংলাদেশ। দিকে দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, সমার্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে নৈরাজ্য গোটা দেশে। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুলেছে বিএনপি। মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানিয়েছে খালেদা জিয়ার দল। তা নাহলে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা তাদের।

Advertisement

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, এক বিবৃতি দিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, "আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে গোটা পরিস্থিতি লক্ষ করছি। হাজারো শহিদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে বিতাড়িত পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার এবং তার দোসরদের উসকানিমূলক আচরণ, জুলাই–আগস্টের রক্তক্ষয়ী ছাত্র গণ–অভ্যুত্থান সম্পর্কে অশালীন এবং আপত্তিকর বক্তব্য দেশের জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ক্রোধের জন্ম দিয়েছে। এরই ফলে গত বুধবার ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পতিত স্বৈরাচারের স্মৃতি, মূর্তি, স্থাপনা ও নামফলকগুলো ভেঙ্গে ফেলার মতো ঘটনা ঘটছে। সরকার এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে।"

রাজনীতির ময়াদানে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে আওয়ামি লিগ। দেশের টালমাটাল পরিস্থিতির জন্য ইউনুসের পদত্যাগ চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা। ৫ তারিখ, বুধবার জানা যায়, দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভিডিও বার্তা দেবেন হাসিনা। সেই থেকেই উত্তেজনার সূত্রপাত হয় বাংলাদেশে। এদিন সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমি মুক্ত হবে।’তারপরই মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে গিয়ে তাণ্ডব শুরু করে বিক্ষোভকারী। হাসিনার বাসভবন সুধা সদনেও আগুন জ্বালিয়ে তারা। বৃহস্পতিবারও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি ‘বিপ্লবী’দের। গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামি লিগের জন্মস্থান নামে খ্যাত বায়তুল আমান ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

বাংলাদেশের এই নৈরাজ্য নিয়ে নানা মহলে ব্যাপক নিন্দা শুরু হয় নানা মহলে। তারপরই মুখ খোলে ইউনুস সরকার। প্রথমে এক বিবৃতি দিয়ে মুজিবের বাড়ির হামলাকে ‘অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলেও দোষ দেওয়া হয় হাসিনাকে। একইভাবে ইউনুসের সুরে সুর মিলিয়ে এই পরিস্থিতির জন্য মুজিবকন্যাকেই দায়ী করছে বিএনপি। পাশাপাশি এই পরিস্থিতিরই সুযোগ নিতে চাইছে তারা। দ্রুত সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে তারা।

এদিকে, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে দ্বিতীয় বিবৃতি জারি করেন ইউনুস। সেখানে বলা হয়, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে। অন্তর্বর্তী সরকার সব সময় নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। কোনও ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎক্ষণাৎ কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।’ কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই বক্তব্যের কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি। দেশজুড়ে আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর করা হচ্ছে, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাঙা হচ্ছে মুজিবুরের মূর্তি। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • গত দুদিন ধরে ‘বিপ্লবী' ছাত্রদের তাণ্ডবে উত্তাল বাংলাদেশ।
  • দিকে দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতি ধ্বংস করা হচ্ছে।
  • আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, সমার্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement