সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা যুদ্ধে আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। আগামী সপ্তাহ থেকেই ছোটদের জন্য টিকাকরণ (Corona vaccination) শুরু হচ্ছে। রবিবার এই ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি জানিয়েছেন, আগামী ১১ আগস্ট থেকে ছোটদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে বাংলাদেশে। ইতিমধ্যেই ফাইজারের (Pfizer) তৈরি টিকা হাতে এসেছে। সেই টিকা দিয়েই শুরু হবে ছোটদের টিকাকরণ।
বড়দের টিকাকরণ প্রায় শেষ। দেশের ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল হাসিনা প্রশাসন। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে। প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবেই টিকা দেওয়া হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর এ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের গণহারে টিকাদান অভিযান শুরু হবে। রবিবার ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনে (নিপসম) ‘মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ’ উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানে একথা বলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: লাগাতার উপহাসের প্রতিশোধ, জাদুঘরে ঘাতক জওয়ানের টার্গেট ছিল ৪ সহকর্মী]
করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের তৈরি টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছয় গত ৩০ জুলাই। ওই দিন বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লক্ষ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা এসেছে। হাসিনা সরকার গত এপ্রিল মাসেই ৫ থেকে ১১ বছর বয়সিদের টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়। শিক্ষা মন্ত্রকের সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। বাংলাদেশে পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সি শিশুদের সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লক্ষ। তাদের জন্য ৪ কোটি ১০ লক্ষ টিকা দানের নিশ্চয়তা দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শিশুদের দু’ ডোজ করে টিকা দেওয়া হবে। এর জন্য ৮ কোটি ৮০ লক্ষ ডোজ লাগবে। কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির আওতায় বাংলাদেশ এই টিকা পেয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
[আরও পড়ুন: দিঘায় ফের পর্যটকের মৃত্যু, সমুদ্রে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন টালিগঞ্জের ব্যক্তি]
এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘‘এখন যাঁরা করোনায় মারা যাচ্ছেন, তাঁদের বেশিরভাগ করোনার টিকা নেননি বা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেননি।’’ এখনও পর্যন্ত দেশে ২০ লক্ষ ৭ হাজার ১১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লক্ষ ৪৭ হাজার ৩০৭ জন। এই পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ২৯ হাজার ৩০৪ জন। বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনার সংক্রমণের চিত্র কয়েক দফা ওঠানামা করতে দেখা গেছে।