নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশকারী চোর সন্দেহে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে পিটিয়ে 'খুন'। এনিয়ে তীব্র নিন্দা জানাল ঢাকা। গণপিটুনি এবং হত্যার প্রতিবাদও জানিয়েছে ইউনুস সরকার। শুক্রবার ঢাকায় বিদেশ মন্ত্রকের এক বিজ্ঞপ্তিতে ত্রিপুরার ঘটনাটি নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদে জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই জঘন্য ঘটনা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করছে। বাংলাদেশ সরকার এই শোচনীয় ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
তিনজনকে চোর সন্দেহে খুনের ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত নিশ্চিত করার দাবি তুলেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এ ধরনের অমানবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বানও জানোনো হয়েছে নয়াদিল্লির কাছে। পাশাপাশি অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনারও দাবি ঢাকার বিদেশ মন্ত্রকের। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সীমান্তের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, জাতীয়তা নির্বিশেষে প্রত্যেক ব্যক্তিরই নিজের সুরক্ষা মানবাধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই স্রেফ সন্দেহের বশে মারধর, খুনের মতো ঘটনা অত্যন্ত অসংবেদনশীল।
জানা গিয়েছে, গত ১৫ অক্টোবর ত্রিপুরার খোয়াই জেলার কারেঙ্গিছড়া এলাকায় তিন বাংলাদেশি ঢুকে বসবাস শুরু করেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেয় বলে অভিযোগ। এরপর তাঁদের তির মেরে হত্যা করা হয়। পরে ভারতীয় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিদ্যাবিল সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া ওই তিনটি মৃতদেহ খোয়াই পাহারমুড়া সীমান্তের ১২ নং গেট দিয়ে চাম্পাহাওর থানার পুলিশ ১০৪ নং ব্যাটেলিয়ান বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৫৫ নং ব্যাটালিয়ান বিজিবি ও চুনারুঘাট থানার ওসির হাতে হস্তান্তর করে।
ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের ১০৪ নং ব্যাটেলিয়ানের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট কুন্দন কুমার, খোয়াই থানার ওসি কৃষ্ণ ধন সরকার, চাম্পাহাওর থানার ওসি দিলীপ কুমার দেববর্মা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন ৫৫ নং ব্যাটালিয়ন বিজিবির কোম্পানি কমান্ডান্ট আবুল খায়ের, চুনারুঘাট থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকারা।
