সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পরেই বাংলাদেশে ফের আক্রান্ত সংখ্যালঘু হিন্দুরা। এবার একটি প্রাচীন কালী মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়ে প্রতিমার গলা কেটে ফেলল দুষ্কৃতীরা। পিটিআই সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার দউতিয়া গ্রামে। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার দউতিয়া গ্রামের একটি প্রাচীন কালী মন্দিরে হামলা চালায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা। মন্দির কমিটির প্রেসিডেন্ট সুকুমার কুন্দা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা প্রতিমা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছেন। মূর্তির গলা কেটে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ফেলে দেয়। তিনি বলেন, “ব্রিটিশ জমানা থেকেই এখানে হিন্দুরা প্রার্থনা ও পুজো করে আসছেন।” বাংলাদেশ দুর্গাপূজা উদযাপন পরিষদের সাধরণ সম্পাদক তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার পিটিআই-কে জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে ঝিনাইদহের ওই মন্দিরে হামলা চালান হয়েছে। ঝিনাইদহ থানার সহকারী পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মন জানিয়েছেন, একটি মামলা রুজু করে হামলাকারীদের সন্ধান চলছে।
[আরও পড়ুন: উলফা নেতা অনুপ চেতিয়ার মেয়ের সঙ্গে বাংলাদেশি পাত্রের বিয়ে ঘিরে শোরগোল]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, দুর্গাপুজোয় সন্ত্রাসবাদী হামলা ও সাম্প্রদায়িক হিংসার আশঙ্কা ছিল বাংলাদেশে (Bangladesh)। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের তৎপরতায় শান্তিপূর্ণভাবেই শারদোৎসব পালিত হয়েছে। কিন্তু বিজয় দশমীর চব্বিশ ঘণ্টা না কাটতেই কালী মন্দিরে হামলা স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে দেশের সম্প্রদায়িক শক্তিগুলি হিংসা উসকে দিতে বদ্ধপরিকর।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি আওয়ামি লিগের (Awami League) সাধারণ সম্পাদক তথা সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, শেখ হাসিনার সরকারকে বদনাম করতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার চক্রান্ত হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা লুটতেই এই পরিকল্পনা করেছে একটি অশুভ চক্র। বলে রাখা ভাল, গত বছর বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপে একের পর এক হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তারপর দেশজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।