নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: নির্বাচন নিয়ে ইউনুসের টালবাহানায় মোটেই বরদাস্ত করছে না বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে সিইসি বা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভোটের জন্য যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন, তা করে নেবে কমিশন নিজেই। তারপরই ভোটের আয়োজন করা হবে। তিনি এও জানান, রাজনীতির ক্ষেত্রে যা যা সংস্কার দরকার, তার দায়িত্ব ঐকমত্য কমিশনের। সেই কাজ করবেন ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা। এদিন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এসব জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসিরউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত সুসান রাইলির সঙ্গে আলোচনা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নাসিরউদ্দিন। তারপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনের কেনাকাটার কাজ শুরু হয়েছে। সীমানা নির্ধারণে আইন পরিবর্তন দরকার। আইন মন্ত্রণালয় থেকে ভেটিং হয়ে এলে কাজ শুরু হবে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে। রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশনের আবেদন নিয়ে যে সময়সীমা ছিল, তাও বাড়ানো হয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক বিষয়ে উদ্যোগ নেবে ঐকমত্য কমিশন। সে নিয়ে কথা বলবে না নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটের প্রস্তুতিতে নির্বাচনের আগে যা যা করা দরকার নিজেদের ক্ষমতাবলে সেসব কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, দেশে নির্বাচন নিয়ে ইউনুস সরকার যতই টালবাহানা করুক, কমিশন কিন্তু ভোট করাতে আগ্রহী। এবং সেই লক্ষ্যে নিজেরাই কাজ শুরু করল। এদিন এএমএম নাসিরউদ্দিন আরও জানিয়েছেন, অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলে তিনি জানতে পারেন যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে করতে সাহায্য করতে রাজি। ফলে নির্বাচন নিয়ে ইউনুস সরকারের উপর চাপ বাড়ছে।