সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভূস্বর্গের সবুজ উপত্যকার রং এখন লাল। এক মুহূর্তে বদলে গিয়েছে ২৬ পরিবারের জীবন। চোখের সামনে প্রিয়জনকে জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁজরা হয়ে যেতে দেখেছেন তাঁরা। কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় শিউরে উঠছে বিশ্ব। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ভারতকে সমবেদনা জানিয়েছে বিভিন্ন দেশ। এবার দিল্লিকে শোকবার্তা দিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।
আজ বুধবার ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম তার ফেসবুক পোস্টে জানান, 'কাশ্মীরের ঘটনায় অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে শোকবার্তা জানিয়েছেন। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় প্রাণহানির জন্য আমাদের গভীর সমবেদনা রয়েছে। আমরা এই নৃশংসতার তীব্র নিন্দা জানাই। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করছি।' এদিকে, এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিদেশ মন্ত্রক থেকেও বার্তা দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ফলে নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। বাংলাদেশ নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে বাংলাদেশ তার অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।'
পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। রীতিমতো ধর্মীয় পরিচয় দেখে দেখে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয় সূত্রের দাবি, জঙ্গিরা এসেছিল সেনার পোশাক পরে। সব মিলিয়ে ৪০ রাউন্ড গুলি চলেছে। মূলত আক্রমণ করা হয় অমুসলিমদের। হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্করের টিআরএফ বা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট। জানা যাচ্ছে, এই হামলার জড়িত জঙ্গিরা বেশিরভাগই বিদেশি।
ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে চার জঙ্গির ছবি। এদিকে, তিন সেনাপ্রধানদের সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরই হুঙ্কার দিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, কেউ রেহাই পাবে না। শুধু হামলাকারীদের বিরুদ্ধেই নয়, নেপথ্যে থাকা মাস্টার মাইন্ডদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। তবে কি আজই পাকভূমে জঙ্গিঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাবে সেনা? রাজনাথের গর্জনের পর সেই জল্পনাই এখন তুঙ্গে।
