সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের ডাকা লকডাউন বানচাল করতে ইউনুসের অন্তর্বর্তী প্রশাসন যতই আঁটসাঁট ব্যবস্থা নিক, বৃহস্পতিবার দিনভর যথেষ্ট অশান্তি হয়েছে গোটা দেশজুড়ে। রেললাইন, বিমানবন্দর, রেস্তরাঁর সামনে ককটেল বিস্ফোরণের মতো ঘটনা আটকানো যায়নি। যদিও প্রাণহানির খবর নেই এখনও পর্যন্ত। লাগাতার অশান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নবান্ন উৎসব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী রবিবার ঢাকার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে নবান্ন উৎসবের ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার তড়িঘড়ি তা বাতিল করা হল। জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কায় নবান্ন উৎসব স্থগিত করা হল।
প্রাক্তন শাসকদল আওয়ামি লিগ ১৩ নভেম্বর লকডাউনের ডাক দিয়েছিল মূলত ঢাকায়। তবে তার প্রভাব পড়েছে গোটা বাংলাদেশেই। দিনভর নানা অশান্তির পর রাতেও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় রেললাইনে অগ্নিসংযোগের জেরে ট্রেন চলাচলে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ সদর উপজেলার ভাতশালা (আখাউড়া-চিনাইর সড়কের পাশে) এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএমশফিকুল ইসলাম জানান, দুষ্কৃতীরা ভাতশালা স্টেশনের সামনে রেলাইনে আগুন দেয়। প্রায় ওই একই সময়ে বিমানবন্দর গোলচত্বর আউটগোয়িং গেটের সামনে প্রথম ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এর কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দর ১ নম্বর সেক্টরের একটি রেস্তরাঁর সামনেও দ্বিতীয় ককটেল বিস্ফোরণটি ঘটে।
এসবের পর শুক্রবার সকালে জাতীয় নবান্ন উৎসব উদযাপন পর্ষদের তরফে সাধারণ সম্পাদক নইম হাসান সুজা সংবাদমাধ্যমে নবান্ন উৎসবের আয়োজন বাতিলের কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, "এখন যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তাতে আমাদের শিল্পী, অভিভাবকরা শঙ্কিত। বৃহস্পতিবার তো আওয়ামি লিগের 'লকডাউন' কর্মসূচির কারণে সড়কের অবস্থা থমথমে ছিল। এখন ফেসবুক-সহ বিভিন্ন মাধ্যমে শুনতে পাচ্ছি, রোববার আওয়ামি লিগ 'শাট ডাউন' কর্মসূচি পালন করবে। শিশুরাও আসে আমাদের এই নবান্নে উৎবে। তাদের নিরাপত্তায় ঝুঁকি নিয়ে চিন্তিত আমরা। সেই কারণে রোববারের আয়োজনটি বাতিল করছি।"
