shono
Advertisement
Jamat

জামাতই গিলে খাবে ইউনুসকে! দাগী যুদ্ধাপরাধীকে ছাড়তে ডেডলাইন বেঁধে দিল মৌলবাদীরা

বিএনপি, জামাত এমনকি বৈষম্যবিরোধীরা ছাত্ররাও এখন ইউনুসের উপর রুষ্ট।
Published By: Suchinta Pal ChowdhuryPosted: 03:20 PM Feb 22, 2025Updated: 05:26 PM Feb 22, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামাত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররাই ক্ষমতায় বসিয়েছিল মহম্মদ ইউনুসকে। কিন্তু এখন তারাই রুষ্ট বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উপর। এবার এক দাগী যুদ্ধাপরাধীকে জেল থেকে মুক্ত করতে ইউনুসকে ডেডলাইন বেঁধে দিল মৌলবাদীরা। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের উপর প্রভাব খাটাচ্ছে জামাত। পাকপন্থী দলটির বহু সদস্যই এখন সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে রয়েছে। ইউনুসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনাও চলছে জামাতের নেতাদের। ফলে অনেক বিশ্লেষকই বলছেন, এই মৌলবাদী দলের কাছে হাত-পা বাঁধা অন্তর্বর্তী সরকারের।

Advertisement

ইউনুসকে ক্ষমতায় বসিয়ে পরোক্ষে দেশ শাসন করতে চায় জামাত। এমনটা মনে করেন অনেকেই। গত বছর জুলাইয়ের ছাত্র আন্দোলনকে হিংসাত্মক করে তোলার অভিযোগে জামাতকে নিষিদ্ধ করে দেয় তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার। কিন্তু ইউনুস ক্ষমতায় আসার কয়েকদিনের মধ্যেই জামাতের উপর থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন। অনেক নেতাকে জেল থেকেও মুক্ত করেছেন। তবে এখনও কারাগারে বন্দি রয়েছে জামাতের বেশ কয়েকজন নেতা। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বহু খুন, ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, দলের কারাবন্দী নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের মুক্তির জন্য সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন জামাতের আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, একে একে সব জাতীয় নেতারা মুক্তি পেলেও এ টি এম আজহারুল ইসলাম বৈষম্য ও জুলুমের শিকার। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর জেলা আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে জামাত একটি জনসভার আয়োজন করে। সেখানেই আমির শফিকুর বলেন, "তাঁকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি। আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেপ্তার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত প্রাঙ্গণে হাজির থাকব। আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।"

উল্লেখ্য, এক সময় এ টিএম আজহারুল ইসলাম বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রথম সভাপতি ছিল। তারপর জামাতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল হয়। এরপর ২০১২ সালে ২২ অগাস্ট তাকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এবার এই দাগী যুদ্ধপরাধীকে জেল থেকে ছাড়তে ইউনুসের উপর চাপ বাড়াচ্ছে জামাত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • জামাত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররাই ক্ষমতায় বসিয়েছিল মহম্মদ ইউনুসকে।
  • এবার এক দাগী যুদ্ধাপরাধীকে জেল থেকে মুক্ত করতে ইউনুসকে ডেডলাইন বেঁধে দিল মৌলবাদীরা।
  • অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাদের উপর প্রভাব খাটাচ্ছে জামাত।
Advertisement