সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যর্থ ইউনুসের 'পুতুল' সরকার! বাংলাদেশে অকথ্য নির্যাতনের (Bangladesh Violence) শিকার সংখ্যালঘুরা। বড়দিনে নিজের দেশের সংখ্যালঘুদের দুর্দশা নিয়ে ফুঁসে উঠলেন ক্ষমতাচ্যুত ও নির্বাসিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। তিনি বলছেন, বাংলাদেশ বরাবরের সম্প্রীতির দেশ। এই অরাজকতা বেশিদিন সহ্য করবে না দেশবাসী।
অশান্ত বাংলাদেশ। তাঁর অপসারণ চেয়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা ক্রমশ মৌলবাদীদের আস্ফালন আর সংখ্যালঘুদের ত্রাসের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। স্রেফ ধর্মাচরণের জন্য আক্রান্ত হতে হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। যার জলজ্যান্ত উদাহরণ দীপু দাস হত্যাকাণ্ড। শুধু দীপু নন, বৃহস্পতিবার অমৃত মণ্ডল নামের আরও এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মারা হয়েছে। শেখ হাসিনা বলছেন, এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বাংলাদেশে বেআইনিভাবে ক্ষমতা দখল করে বসে থাকা ইউনুস সরকারের ব্যর্থ নীতি।
বড়দিনে এক অডিওবার্তায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, "বাংলাদেশে আজ অমুসলিমদের অকত্য নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। সম্প্রতির বাংলাদেশে আজ সংখ্যালঘুদের জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো অমানবিক ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশের মানুষ এসব সহ্য করবে না। বড়দিন সব ধর্মের সম্প্রীতির বার্তা বয়ে আনবে।" হাসিনা বলছেন, "বর্তমানে যারা বেআইনিভাবে দেশের ক্ষমতা দখল করে রেখেছে তাঁরা যেভাবে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছে সেটা বেদনাদায়ক।" বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আশা, শীঘ্রই দেশে এই অন্ধকার কেটে গিয়ে আলোর দিশা মিলবে।
আসলে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী শাসনে নৈরাজ্য, প্রবল সংখ্যালঘু হিন্দু-বিদ্বেষের আগুনে পুড়ছে বাংলাদেশ। ছাত্র নেতা ওসমান হাদি হত্যা পরবর্তী চলতি অধ্যায়ে গণপিটুনি দিয়ে ময়মনসিংহে কারখানার শ্রমিক দীপুচন্দ্র দাসকে খুন করে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংসতার রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে আরও এক হিন্দু যুবককে। রাজবাড়ির পাংশা উপজেলায় বুধবার গণপিটুনির বলি হন অমৃত মণ্ডল ওরফে সম্রাট নামে ২৯ বছরের এক যুবক। এই ভয়াবহ ঘটনার সঙ্গে অবশ্য তোলাবাজির যোগ থাকার দাবি করেছে পুলিশ। কিন্তু দীপুচন্দ্রের পর আরও এক হিন্দু যুবককে পিটিয়ে মারা সংখ্যালঘু মনে গভীর আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। সংখ্যালঘুদের এই দুর্দশা দেখে এবার ফুঁসে উঠলেন হাসিনা।
