সুকুমার সরকার, ঢাকা: বিএনপির সদ্যপ্রয়াত চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জন্য সবার কাছে 'দোয়া' চাইলেন তাঁর বড় ছেলে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে খালেদা জিয়ার জানাজা সম্পন্ন হল। বাংলাদশের তিনবারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদার 'জানাজা' বুধবার বিকেল ৩টা নাগাদ রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে সংক্ষপ্তি ভাষণে আবেগপ্রবন হয়ে পড়েন তারেক।
মায়ের জানাজা শুরুর আগে আবেগঘন সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক। তিনি মায়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চান। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, “কারও কাছে যদি মরহুমা খালেদা জিয়ার কোনও ঋণ থেকে থাকে, তাহলে আমাকে জানাবেন। আমি অবশ্যই তা পরিশোধের ব্যবস্থা করব।" আরও বলেন, “একই সঙ্গে তাঁর কোনও ব্যবহারে বা কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকলে, মায়ের পক্ষ থেকে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আপনারা দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন তাকে বেহেস্ত (স্বর্গে) পাঠান।”
এদিন খালেদা জিয়ার জানাজায় লক্ষ লক্ষ মানুষ জড়ো হন। ঢাকার রাস্তা লোকে লোকারণ্য হওয়ায় যানবাহান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। তারেকের আবেগঘন বক্তব্যে জানাজাস্থলে উপস্থিত মানুষের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়। অনেককে চোখের জল ফেলতে দেখা যায়। জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরি, জিয়ার পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের অন্য সদস্যরা, বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারের প্রতিনিধিরা, তার মধ্যে রয়েছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরও। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে জানাজায় বিএনপি নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জামাতের আমির শফিকুর রহমান। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকেও দেখা গিয়েছে জানাজায়।
জানাজার পর স্বামী রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পাশে খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমহিত করা হয়। এসময় খালেদার পরিবারের সদস্যরা, বিদেশি অতিথি, রাষ্ট্রদূত ও বিএনপি মনোনীত রাজনীতিবিদরা উপস্থিত ছিলেন । দাফনকাজ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত শের-ই-বাংলা নগরের জিয়া উদ্যানে জনসাধারণের চলাচল সীমিত ছিল।
